২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

সাত.
এ রকমভাবে দেখতে দেখতে বিশাল বাড়িটা পোড়োবাড়িতে পরিণত হয়। বাড়ির গায়ে গাছপালা জন্মে ফাটল ধরে পরিত্যক্ত রূপ পায়। বাড়িটা বিক্রির উপযুক্ততা হারায়। অনেকে অবশ্য দখলে নেয়ার চিন্তা করলেও বাড়ির বর্তমান মালিক তাতে রাজি হয় না। পাশাপাশি সরকারের সাহায্য নেয়ায় বাড়িটা অন্য কেউ কখনো দখল নিতে পারেনি। কেউ কেউ বলে একরাম খান কিছুটা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে বাড়ির দখল নিতে আর দেশে আসেনি। কেউ কেউ বলে, এই প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কারণে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আর এ কারণেই একরাম খান নিজে কখনো এদেশে এসে এই বিশাল বাড়িটার ব্যাপারে নিষ্পত্তি করেনি।
ওরা তিনজন প্রায় জনশূন্য গলি দিয়ে হাঁটছিল। হঠাৎ করে টিপুর নজরে পড়ে জিনিসটি। একটা ১০ টাকার নোট। গলির পাশে পথের একধারে দলামচা পড়ে আছে। সে ওদের বলল, ‘দেখ, দেখ, ১০ টাকার একটা নোট পড়ে আছে।’
মিঠু আশপাশে তাকিয়ে দেখল কেউ নেই। সে উবু হয়ে টাকাটা হাতে তুলে নিয়ে বলল, ‘তাই তো, এক্কেবারে নতুন ১০ টাকা। কোনো ছেঁড়াফাটা স্কচটেপ মারা নেই।’
রনি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে বলল, ‘জাল টাকা মনে হয়। না হলে ওভাবে পড়ে থাকবে কেন?’
মিঠু রনির হাত থেকে ছোঁ মেরে দশ টাকা নিয়ে বলল, ‘ধুর, ১০ টাকা আবার জাল করতে যাবে কে? মাত্র তো ১০ টাকা। পাঁচশ টাকার নোট, হাজার টাকার নোট এসবই জাল হয়। আমি জানি। আমার বাবা ব্যাংকে চাকরি করে।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement