০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ঊনচল্লিশ.
মাথা ঝাঁকাল সুজা। ‘পপলারের সেই রহস্যময় নাবিককে খুঁজলে কেমন হয়? এখন হয়তো আংটিটা পরেছে। বলা যায় না, ও-ই হয়তো আমাদের লোক, যাকে আমরা খুঁজছি।’
পানির কিনার থেকে এক ব্লক দূরে গাড়ি রাখল রেজা। গাড়ি থেকে নেমে দ্রুতপায়ে দু’জনে হেঁটে গেল ডকের কাছে। ঘাটে নানা ধরনের জলযানÑমাছধরা বোট, গভীর সাগরে চলাচলের উপযোগী ক্রুজার, বিলাসবহুল বোট, এস্কারশন স্টিমার। ওগুলোর মাঝে পপলারকে দেখা গেল। বোটটার দিকে এগোতে এগোতে আচমকা রেজার হাত খামচে ধরল সুজা। খোলা জায়গায় একটা খাবারের দোকান দেখাল। উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, ‘দ্বিতীয় টুলে বসা লোকটাকে দেখ!’
গাট্টাগোট্টা, বাদামি চামড়ার একজন নাবিক বসে খাচ্ছে। মুখের কাছে বার্গার তুলল। ঝিক করে উঠল আঙুলে পরা আংটির চুনি পাথরটা। ঠিক সেই আংটিটার মতো, পাখি চোরের হাতে যেটা দেখেছিল সুজা।
দ্রুত সরে গিয়ে একটা বাড়ির আড়ালে লুকিয়ে পড়ল দু’জনে।
‘কী করবি?’ নিচুস্বরে জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘ওর কাছে যাব। দেখি, কী রকম প্রতিক্রিয়া হয়,’ রেজা জবাব দিলো।
‘চল।’
লোকটার কাছে গিয়ে তার দু’পাশে বসল ওরা। রেজা জিজ্ঞেস করল, ‘আমাদের বাজপাখিটা নিতে চাচ্ছিলেন কেন?’
অবাক হলো লোকটা। ‘বাজপাখি? আমাকে অন্য কেউ বলে ভুল করছ।’ বিড়বিড় করতে করতে টুল থেকে উঠে দাঁড়াল সে।
ওর কাঁধ চেপে ধরল সুজা। ‘যাচ্ছেন কোথায়? আমাদের না বললে পুলিশের কাছে বলতে বাধ্য করব।’
‘পুলিশ? ঘটনাটা কী, বলো তো? বাজপাখির কথা কিছুই জানি না আমি। সত্যি!’ জোরালো হলো নাবিকের কণ্ঠ। কাঁধের ওপর থেকে সুজার হাতটা ঠেলা মেরে সরিয়ে দিলো।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement