২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অভিযান

দুই গোয়েন্দার অভিযান-১০ পর্ব

-

রেজা আর সুজা দুই ভাই। রেজা বড়। সুজা ছোট। বাংলাদেশী। আমেরিকায় বসবাস। হাইস্কুলের ছাত্র। শখের গোয়েন্দা। অ্যাডভেঞ্চার ওদের রক্তে। রহস্যের নেশায় পাগল। নতুন যুগের নতুন গোয়েন্দা ওরা। নতুন নতুন অভিযানে ঝাঁপ দিয়ে ঘুরে বেড়ায় দুনিয়াময়...
বিশ.

তবে এ কাজের জন্য সরকারি অনুমতি দরকার। সেটা নিতে হবে স্টেট ফিশ অ্যান্ড গেম ডিপার্টমেন্ট থেকে। ঠিক হলো, আগামী দিন সকালেই অফিসে গিয়ে অনুমতি নেবে দু’জনে, তারপর বাজপাখি নিয়ে হাশিমের সাথে বেরোবে।
‘নেডদের খামারটাই হবে আমাদের ফ্যালকনারি শেখার উপযুক্ত স্থান,’ সুজাকে বলল রেজা।
পরদিন সকালে উঠে ফিশ অ্যান্ড গেম ডিপার্টমেন্টে রওনা হলো দু’জনে। ওরা কী করতে চায় শুনে অবাক হয়ে তাকাল কার্ক। নাসেরের নাম শুনে চিনতে পেরে মাথা ঝাঁকাল। স্পেশাল হান্টিং পার্মিট দিয়ে দিলো ওদেরকে।
অফিস থেকে বেরিয়ে হাশিমের দোকানে চলল রেজা-সুজা। দরজায় ওদের অপেক্ষাতেই দাঁড়িয়ে আছে বুড়ো ব্যবসায়ী। বয়েস ষাটের কাছাকাছি। কিন্তু বর্শার মতো সোজা, ছিপছিপে দেহ। এই বয়েসেও ক্ষিপ্র, বোঝা যায়।
গাড়িতে উঠে বাজপাখিটার দিকে তাকাল সে। খাঁচা থেকে বের করে এনে হাতের কব্জিতে বসাল। পালকে টোকা দিয়ে বলল, ‘পাখিটাকে খুব ভালোমতো ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। মনিবের প্রতি নির্ভরশীল। জানে, মনিব তার কোনো ক্ষতি করবে না। ভালো ভালো খাবার দেবে।’
‘তার মানে খাবারের লোভ দেখিয়ে এটাকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে?’ রেজার প্রশ্ন।
‘অনেকটা তাই। মনিবের জন্য কাজ করতে শেখানো হয়েছে একে। প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে যা যা করে বাজপাখিরা, সেগুলো যাতে শিখতে না পারে, সে ব্যাপারে কড়া নজর রাখা হয়েছে।’
‘শিকার ধরে কি সরাসরি মনিবের কাছে নিয়ে আসবে?’ সুজা জিজ্ঞেস করল।
‘না,’ বুড়ো বলল। ‘শিকার নিয়ে মাটিতে নামবে, শিকারের ওপর বসে থাকবে, শিকারিকে তখন তার কাছে যেতে হবে। শিকার নিয়ে কখনো শিকারির কাছে আসবে না সে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement