২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

একান্ন.
কথা বলেছে যে লোকটা সে ব্রুকার। দেখে খুব একটা অবাক হলো না রেজা। লোকগুলো আসবে, এই সন্দেহটা বরাবরই ছিল তার মনে।
মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে নেয়ায় আরো তিনজনকে চিনতে পারল ছেলেরা। একজন সেই ভুয়া ট্যাক্সি ড্রাইভার। অন্য দু’জনের একজন টেনি, আরেকজন ডন। বাকি তিনজন লোক অপরিচিত। নিশ্চয় মারাকেশ থেকে জোগাড় করেছে ব্রুকার। একজনের মুখে রঙ দিয়ে বাঘের চামড়ার মতো ডোরা আঁকা।
তার মানে উটের কাফেলাটা মরীচিকা ছিল না। ওদের অনুসরণ ওরা ঠিকই করেছে, তবে গাড়িতে করে নয়, উটে চড়ে। আর এসেছে ভিন্নপথে, আগে আগে। এসে বালির ঢিবির আড়ালে লুকিয়ে ছিল। দেখতে চেয়েছিল ছেলেরা গুপ্তধনগুলো খুঁজে বের করতে পারে কিনা।
ভদ্রতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে ব্রুকার বলল, ‘অনেক ধন্যবাদ তোমাদের, গুপ্তধনগুলো বের করে দেয়ার জন্য। তবে একটা বোকামি তোমরা করেছ, আমাদের ফাঁকি দিয়েছ ভেবে।’
‘উপকার তো করলাম,’ কণ্ঠস্বর শান্ত রাখার চেষ্টা করছে রেজা। ‘আপনাদেরই জয় হলো। যত খুশি গুপ্তধন নিয়ে যান। আমরা যাই।’
হেসে উঠল ব্রুকার। ‘গুপ্তধন তো আমাদেরই, কিন্তু তোমরা যাবে কোথায়? ওই কঙ্কালগুলোর সাথে তোমরাও থাকবে।’ ধাঁ করে লাথি মারল একটা কঙ্কালের গায়ে। একটা হাড় খসে গিয়ে গড়িয়ে গেল ধুলো ভরা মেঝেতে।
আক্রমণের ভঙ্গিতে ছেলেদের দিকে এগোতে শুরু করল লোকগুলো। আত্মরক্ষার জন্য তৈরি হলো রেজা, সুজা ও নেড। সহজে ধরা দেবে না।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement