আজ তোমরা জানবে, সিলভারআই সম্পর্কে । সিলভারআই সর্বপ্রথম ১৮৩২ সালে নিউজিল্যান্ডে দেখা যায়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতেই বেশি দেখা যায়। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
হয়তো সিলভারআই সম্পর্কে তোমাদের ধারণা আছে। বাংলায় অর্থ করলে হয় রুপালি চোখ। তবে এটা আসলে কোনো প্রাণীর রুপালি চোখ নয়। এটি এক ধরনের গায়ক পাখি। এর চোখের চার পাশে সাদা পালক রয়েছে। সম্ভবত এ জন্যই একে সিলভারআই বলা হয়। নিউজিল্যান্ডের মাউরি ভাষায় এর নাম ‘তাউহউ’, যার অর্থ ‘খুদে আশ্চর্য’। সিলভারআই সর্বপ্রথম ১৮৩২ সালে নিউজিল্যান্ডে দেখা যায়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতেই বেশি দেখা যায়। এ জন্য এদের অস্ট্রেলিয়ার দেশীয় পাখি বলা হয়। তাসমানিয়া দ্বীপেও এদের পাওয়া যায়। সিলভারআইয়ের পালকের রঙের ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্য দেখা যায় তা অন্য পাখিদের ক্ষেত্রে বোধহয় পাওয়া যাবে না। একই দেশের মধ্যে পূর্ব-পশ্চিমের ব্যবধানে এদের পালকের রঙে ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের সিলভারআইয়ের পেছনের দিকের রঙ ধূসর এবং মাথা জলপাই সবুজ। আর পশ্চিমাঞ্চলের সিলভারআইয়ের দেহের পেছনের দিকের রঙ জলপাই সবুজ। আবার তাসমানিয়া দ্বীপের পাখিদের গলার রঙ ধূসর, লেজের নিচের অংশ হলদে। একই দেশের মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে রঙের এ বিভিন্নতা আসলেই আশ্চর্যজনক।
আজ তোমরা জানবে সিলভারআইয়ের আকার ও প্রকৃতি সম্পর্কে। এটি বেশ ছোট পাখি। সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১২ সেন্টিমিটার। সর্বনিম্ন ১০ সেন্টিমিটার। গড় ওজন ১১ গ্রাম। তবে আকারে ছোট হলেও এরা দীর্ঘ দূরত্বে অভিপ্রয়াণে যেতে পারে। এরা তাসমানিয়া থেকে দক্ষিণ কুইন্সল্যান্ড পর্যন্ত অভিপ্রয়াণে চলে যায়। বৃক্ষ আচ্ছাদিত যেকোনো স্থান, বিশেষ করে বাণিজ্যিক ফল বাগান, শহুরে উদ্যান এবং বাগানে এদের বসবাস করতে দেখা যায়। এদের সাধারণত একাকী চলাফেরা করতে দেখা যায়। তবে প্রজনন ঋতুতে ছোট ঝাঁক গঠন করে। শীতকালে অনেক বড় ঝাঁক গঠন করে। এরা কীটপতঙ্গ ধরে খায়। তবে ফল ও মধু বেশি পছন্দ করে। আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিলভারআইয়ের প্রজনন ঋতু। স্ত্রী ও পুরুষ সিলভারআই উভয়ে মিলে ঘাস, চুল, লতাপাতা ও মাকড়সার জাল দিয়ে একটি ছোট বাসা তৈরি করে। মাটি থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতায় গাছের গর্তে এরা বাসা তৈরি করে। সব কিছু অর্থাৎ পরিবেশ অনুকূলে থাকলে স্ত্রী পাখিটি দুই থেকে চারটি নীলাভ সবুজ ডিম পাড়ে। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েই ডিমে তা দেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা