১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ঊনচল্লিশ.

‘তোমরা ছিলে দুজন,’ রেজা জবাব দিলো। ‘আমরা এখন অনেক লোক। সবাই মিলে চেপে ধরে টান দিলে খুলে চলে আসবে শিক।’
‘তাতেই বা কী?’ নেড বলল। ‘জানালার নিচে সাগর। সাগরে লাফিয়ে পড়ার কথা ভাবছো নাকি? আত্মহত্যার আরো অনেক সহজ উপায় আছে।’
‘জানালার ঠিক নিচেই কার্নিশের মতো বেরিয়ে আছে,’ রেজা জানাল। ‘ওটা দিয়ে অন্য কোনো ঘরের জানালার কাছে পৌঁছতে পারলে, ওদিক দিয়ে ঢুকে হয়তো এ ঘরের দরজা খুলে দেয়া যাবে।’
‘পাগলামি মনে হচ্ছে আমার কাছে। তবে চেষ্টা করে দেখতে দোষ নেই।’
রেজা, সুজা, নেড, মাইকেল ও রেড এসে জড়ো হলো জানালার কাছে। জানালার শিক চেপে ধরে টানতে শুরু করল। পেশি ফুলে উঠল ওদের। মুখে রক্ত জমল। মিনিট তিনেক টানাটানির পর বড় জোর ইঞ্চি দুয়েক বাঁকাতে পারল শিকটা।
উঠে এলেন মাসকারো। জানালার কাছে এসে দাঁড়ালেন। ‘একটা সময় শত্রুর চোখে ধুলো দিয়ে স্পাইয়ের কাজ করার জন্য সার্কাসে যোগ দিয়েছিলাম। স্ট্রংম্যানের কাজ করেছি আমি। সরো তো দেখি, আমি একবার চেষ্টা করি।’
দুই হাতে শিক চেপে ধরলেন তিনি। বড় করে দম নিয়ে টান দিলেন। ধীরে ধীরে বাঁকা হয়ে যেতে শুরু করল শিক। খুলে চলে এলো জানালা থেকে। হাসিমুখে বললেন, ‘শুধু শক্তি দিয়ে হয় না। কায়দাও জানা লাগে।’
বিস্মিত চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। নেড বলল, ‘দেখালেন বটে!’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement