একুশ.
এক সময় শেষ হলো নাচ। শহরের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষটি শহরবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিলেন। দিনটার বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা করলেন। তারপর নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা দু’জন আথাবাস্কান মহিলা এগিয়ে এলো। একজনের হাতে একটা বড় কড়াই, আরেকজনের হাতে ছোট ছোট অনেকগুলো বাটি ও একটা হাতা। ঘরের প্রত্যেক মানুষের কাছে যেতে লাগল ওরা। বাটিতে করে ধূমায়িত ঘন ঝোল খেতে দিলো।
‘কী খাচ্ছে?’ নিচুস্বরে জোসিকে জিজ্ঞেস করল সুজা।
মুচকি হাসল জোসি। ‘সুপ। সবাইকেই খেতে হবে। এটাই নিয়ম।’
‘কিসের সুপ? ভালুকের মাংস?’
‘আরে নাহ্। দুর্ভিক্ষ না লাগলে ভালুক কে খায়,’ জোসির হাসিটা চওড়া হলো। ‘মূজের মাথা।’
‘আস্ত মাথা হাঁড়িতে ফেলে সিদ্ধ করেছে?’
‘হ্যাঁ, করেছে। চোখ, কান, দাঁত কিছুই ফেলেনি।’
‘চামড়া?’
‘সিদ্ধ হওয়ার পরে ফেলেছে।’
এই সুপ খেতে হবে ভেবে নিজের অজান্তেই মুখটা বিকৃত হয়ে গেল সুজার। এমন জানলে অনুষ্ঠানেই আসত না।
ওর মুখের অবস্থা দেখে হাসল জোসি। ‘এত মুখ বাঁকাচ্ছ কেন? খেতে খারাপ লাগে না।’
সুজার কাছে এসে দাঁড়াল দুই মহিলা। বাটিতে করে ঝোল খেতে দিলো। ঢোক গিলল সে। ঠোঁটে লাগিয়ে চুমুক দিলো। ভালো বলতে পারবে না, তবে যতটা খারাপ ভেবেছিল ততটা লাগল না। আর অতিরিক্ত লবণ।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা