জিম্বাবুয়ের সাথে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে লিটন-ইমরুলের দারুণ সূচনায় বাংলাদেশ এখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টসে জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ দল। লিটন দাস আর ইমরুল কায়েসের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের কাছে ধরাশয়ী হয়ে জিম্বাবুয়ের বোলাররা। কিন্তু দলের ১৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮৩ রান করে মাঠ ছাড়েন লিটন। এরপর ফজলে রাব্বি আজকেও হতাশ করে রানের খাতা না খুলেই সাজ ঘরে ফেরেন।
পরপর দুই উইকেট যাওয়ার পর মাঠে নামেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিক। দারুণ এক জুটিতে বেশ স্বাচ্ছন্দেই লক্ষের দিকে এগুতে থাকে বাংলাদেশ।
দলীয় ২১১ রানের মাথায় ইমরুল কায়েস ৯০ রান করে দুর্ভাগ্যজনক আউটের শিকার হন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩৯ ওভারে ৩ উইকেটে ২১৭ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬৫ বলে ৩০ রান।
আরো দেখুন : জিম্বাবুয়েকে বেশি দূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ
নয়া দিগন্ত অনলাইন; ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৮
চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি বাংলাদেশী বোলাররা। বড় স্কোরের সম্ভাবনা তৈরি করলেও দলটিকে আড়াই শ’র নিচেই আটকে দিয়েছে টাইগার বোলাররা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলেছে মাসাকাদজরার দল।
মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই ফিরে যান অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন তাকে ফেরান মুশফিকুর রহীমের গ্লাভসে ক্যাচ বানিয়ে। তবে শুরুতে উইকেট হারালেও পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ৩ নম্বরে নামা ব্রেন্ডন টেইলর ও অপর প্রান্তে থাকা ওপেনার চেফাস ঝুয়াও। তবে আগ্রাসী ভুমিকায় ছিলেন টেইলর। চার ছক্কায় দ্রুত রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন তিনি।
৫২ রানের এই জুটি ভাঙেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০ রান করা ঝুয়াওকে ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে টেইলের সাথে জুটি বাধেন শন উইলিয়ামস। এই জুটিও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশী বোলারদের বিরুদ্ধে।
বড় স্কোরের দিকে ছুটতে থাকা জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা ব্রেন্ডন টেইলরকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৩০তম ওভারে তাকে এলবিডব্লিউ করেন রিয়াদ। ৭৩ বলে ৭৫ রান করেছিলেন টেইলর। ফিরে যাওয়ার আগে উলিয়ামসনের সাথে গড়েছিলেন ৭৭ রানের জুটি। এই জুটির ভাঙনের পর ৩০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাড়ায় ৩ উইকেট ১৪৭ রান।
চতুর্থ উইকেটে সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামসন দারুণ ব্যাটিং করতে শুরু করেছিলেন তবে এই জুটিতে ভাঙন ধরান সাইফউদ্দিন। উইলিয়ামসনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই অলরাউন্ডার। এরপরই মূলত পথ হারায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ছন্দে ফেরেন বাংলাদেশী বোলাররা। পঞ্চম উইকেটে আরেকটি ৪১ রানের জুটি হলেও রানে গতি কমতে থাকে ক্রমশ। পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় ৫ রানের ব্যবধানে। ২২৯ রানের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সিকান্দার রাজাকে ফেরত পাঠান মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪৯ রান করা রাজাই ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের শেষ ভরসা হয়েছে।
বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন ১০ ওভারে একটি মেডেন সহ ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হয়ে ২৪৭ রান। চট্টগ্রামের উইকেট বরাবরই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলে, সে হিসেবে এই স্কোর খুব বড় স্কোর নয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলে তাদের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে। তখন সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ পরিণত হবে নিছক আনুষ্ঠানিকতা। তবে এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে হেরে গেলে শেষ ম্যাচ হয়ে উঠবে অলিখিত ফাইনাল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা