২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬
`

১৯৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

সাকিব ও মুশফিক ছাড়া আজ কেউ-ই ভালো করতে পারেননি - ছবি : সংগৃহীত

ফের ব্যাটিং ধসে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও ২০০ স্পর্শ করতে ব্যর্থ দল। সাকিব-মুশফিকের জোড়া অর্ধশতকের পরও খেলতে পারেনি পুরো ৫০ ওভার। ৩৮.৪ ওভারে মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

বুধবার লাহোরে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান যোগ করার আগেই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। সাকিব-মুশফিক চেষ্টা করেছিলেন, তবে বাকিদের ব্যর্থতায় তা আর পূর্ণতা পায়নি। সাকিব ৫৭ বলে ৫৩ ও মুশফিক করেন ৮৭ বলে ৬৪ রান।

এদিন আরো একবার জ্বলে উঠেন হারিস রউফ। বাংলাদেশের ইনিংসের কোমর ভেঙে দেন তিনি। মাত্র ১৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। বাংলাদেশ দল ৩ রান তুলতেই শেষ ৪ উইকেট হারায়। আর শেষ ৪৬ রানে হারায় ৬ উইকেট!

আগের ম্যাচেই ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শতক হাঁকিয়েছিলেন, আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও তাই তার থেকে প্রত্যাশা ছিল ঢের। কিন্তু গোল্ডেন ডাক মেরেছেন মেহেদী মিরাজ। কোনো রান যোগ করার আগেই প্রথম উইকেটের পতন নিশ্চয়ই শুভ লক্ষ্মণ নয়!

এরপরও লিটন দাস ও নাইম শেখ হাল ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে তা খুব অল্প সময়, ৪.৫ ওভারেই হয় দ্বিতীয় উইকেটের পতন; ফেরেন লিটন। আরো একবার ভালো শুরুর পর তার ‘আত্মহত্যা’, উইকেটের পেছনের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরেছেন ১৩ বলে ১৬ করে। এরপর পরপর দুই ওভারে জোড়া উইকেট তুলে বাংলাদেশ ইনিংসের কোমর ভেঙে দেন হারিস রউফ

ফিল্ডিং করতে গিয়ে নাসিম শাহ চোট পাওয়ায় একটু আগেই বোলিংয়ে আসেন হারিস। তাই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। প্রথমে নাঈম শেখকে ২০ ও তাওহীদ হৃদয়দের স্ট্যাম্প ভাঙেন ৯ বলে ২ রানে রেখে। এশিয়া কাপটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না হৃদয়ের। প্রথম দুই ম্যাচেও হাসেনি তার ব্যাট। পাওয়ার প্লে শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯ /৪।

সেখান থেকে দলটে টেনে তুলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ধসের মুখেও বলের সাথে পাল্লা দিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দুজনে। দু'জনেই স্পর্শ করেন অর্ধশতক, গড়েন ১০০ রানের জুটি। তবে এরপর আর আগায়নি, ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাকিব ফেরায় ভাঙে এই জুটি।

অবশ্য মুশফিককে সাথে নিয়ে অধিনায়কের মতোই খেলছিলেন সাকিব। ধসের মুখে দাড়িয়ে অর্ধশতক তুলে নেন। স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের। তবে আট ইনিংস পর পাওয়া ফিফটি আর টেনে নিতে পারেননি। ফাহিম আশরাফকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন সীমানায়। ১৪৭ রানে তিনি ফেরার পর আর মাত্র ৪৬ রান যোগ হয়।

সাকিব ফেরার পরপরই ফিফটি তুলে নেন মুশফিক, যা তার ক্যারিয়ারের ৪৬তম ওয়ানডে ফিফটি। শামিম পাটোয়ারীকে নিয়ে তিনি ছন্দটা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। তবে শামীম ২৩ বলে ১৬ করে আউট হলে তা আর হয়নি। ৩৮তম ওভারে ফেরেন মুশফিকও, ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৪ করেন তিনি। ১২ রান আসে আফিফের ব্যাটে।

 


আরো সংবাদ



premium cement