১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


নেতৃত্বে আগ্রহী নয় সাকিব, অধিনায়ক কি তবে লিটন?

তামিম মনে করেন তাকে পাশ কাটিয়ে সাকিব আল হাসানের সাথে বেশি সখ্য বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের। - ফাইল ছবি

বিশ্বকাপ আসতে মাস দুয়েক বাকি থাকলেও এশিয়া কাপ গড়াবে চলতি মাসেই। সেই লক্ষ্যে দল প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলেও এখনো কে হবেন এই দুই আসরে বাংলাদেশের অধিনায়ক, এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তামিম ইকবাক থাকলে তো হলোই, অন্যথায় নতুন অধিনায়ক নিয়েও ভাবতে হবে বোর্ডকে।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভাঙার ঘোষণা দিলেও তার দলে ফেরা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা। ধোঁয়াশা আছে দলে ফিরলেও নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন কিনা তা নিয়েও। তবে দেশের জাতীয় এক দৈনিকের দাবি, নেতৃত্বে বুঝে নেয়ার আগে বিসিবিকে বড় কোনো শর্ত জুড়ে দিতে পারেন তামিম।

যেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, ‘তামিম মনে করেন তাকে পাশ কাটিয়ে সাকিব আল হাসানের সাথে বেশি সখ্য বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের। বিসিবি সভাপতি পাপন, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও খেলোয়াড়রা পর্যন্ত সাকিবকে বেশি গুরুত্ব দেন। এটাকে প্রটোকল ভাঙা মনে হয়েছে তার কাছে। তিনি চান প্রটোকল অনুসরণ করা হোক।’

এমন বিশেষ কিছু চাওয়া নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সাথে বৈঠকে বসার কথা তামিমের। অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে অধিনায়কত্ব থাকবে তামিমের হাতেই, বোর্ডও তাই চাচ্ছে।

তবে যদি তামিম ইকবাল নেতৃত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান কিংবা চোটের কারণে এশিয়া কাপের জন্য নিজেকে ফিট না মনে করেন, তবে বিপদে পড়ে যাবে বিসিবি। কেননা সেরা বিকল্প হিসেবে বিসিবি এতদিন যেই সাকিবকে ভেবে আসছিল, স্পষ্টই তিনি বলে দিয়েছেন, অধিনায়ত্ব নিতে আগ্রহ নেই তার।

তামিমের সাথে সাকিবের যে দূরত্বের কথা শোনা যায় গণমাধ্যমে, সাকিব তা আর বাড়াতে চান না। দেশের ক্রিকেটের বাস্তবতা অনুযায়ী আর অস্থিরতা বাড়াতে চান না বলে নেতৃত্ব গ্রহণে না করেছেন সাকিব। গতকাল ও আজ দুটো ভিন্ন গণমাধ্যম এই নিয়ে একই খবর প্রকাশ করেছে।

এমতাবস্থায় মুশফিকের দারস্থ হওয়ার সুযোগ নেই। বোর্ডের সাথে অভিমান করে এই উইকেট কিপার আগেই বলে দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে আর কখনোই জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতে চান না তিনি। সুতরাং তামিম কোনো কারণে নেতৃত্ব না দিলে বেশ বিপাকে পড়বে বিসিবি।

এই ক্ষেত্রে তাদের শেষ সমাধান লিটন কুমার দাস। বর্তমানে ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সাফল্যও আছে তার। সিনিয়র ক্রিকেটাররাও তার নেতৃত্বে খুশীই বলা যায়।

বিসিবি’র সুরেও তাই ঘুরে-ফিরে লিটন দাসের নাম। তবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে লিটন চাপ সামলে কেমন নেতৃত্ব দিতে পারেন, তা নিয়েও শঙ্কা আছে। সব মিলিয়ে বেশ দুদুল্যমান অবস্থানে বিসিবি। এখান থেকে তাদের রক্ষা করতে পারেন কেবল তামিম ইকবাল নিজেই। যদি সব সামলে মাঠে ফেরেন, নেতৃত্ব দেন হাসিমুখে, তবেই স্বস্তি ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা নৃশংসতার নতুন পর্যায়ে, আদালতের হস্তক্ষেপ দরকার শার্ক ট্যাংকে‘ওস্তাদ’ পেল ১ কোটি টাকা মিরসরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ঢাকা মেডিক্যাল কেন্দ্রিক কোনো দালাল থাকবে না : বাহাউদ্দিন নাছিম বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর রংপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ৩টি এলএমএনজি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে টিএমএসএস-এর সাবেক পরিচালকের জেল ও জরিমানা তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩০০ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক আওয়ামী লীগ কারো দয়া-দাক্ষিণ্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি : নানক

সকল