২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এবার সাকিবের অপেক্ষা

সাকিব আল হাসান - ছবি : সংগ্রহ

সাকিব অধিনায়কত্বে ফিরবেন, কী ফিরবেন না, তা সময়ই বলে দেবে। তার নেতৃত্বে ফেরাটা ভালো না মন্দ- তা নিয়েও আগামীতে দ্বন্দ্ব বা ছন্দ মেলানো যাবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে কাপ্তান সাকিব সময়ের প্রয়োজনই বটে। বিশেষ করে ক্রিকেট যখন এগিয়ে যাবার পথে, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সাকিবকে পছন্দ করাই শুভ লক্ষণ হবে।

অনেকেরই ধারণা, কানে কানে রটনা- সাকিব আল হাসান তো টেস্টই খেলতে চান না। তা নিয়ে অবশ্য পার সমর্থকেরও আছে অনুশোচনা। তবে তা যাই হোক, দিন শেষে স্বীকার কিন্তু করতেই হবে, দায়িত্ববান সাকিব সবার উর্ধ্বে। খেলায় মন না বসলে সরাসরি যাবেন সরে, কিন্তু মাঠে নামলে সাকিব দলের একজন যান বনে। একটা জয়ের ক্ষুধায় লড়ে যান হন্য হয়ে।

একজন সাকিব মাঠে থাকা মানেই বদলে যাওয়া আবহাওয়া। পরতে পরতে মিশে যায় সুখের আভা। অধিনায়ক থেকে সমর্থক, সবারই স্বস্তি সাকিবে। শুধুই তাই নয়, একজন সাকিব না থাকা মানেই দল ভোগে দু'জনের অভাবে। তবে কখনো কখনো তা দুই ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় চারে। কখনো উৎসাহ, উদ্দীপনা, নতুনত্ব আর ভিন্ন ভাবনা; আবার কখনো প্রতিপক্ষের ত্রাস হন নামে-ভারে!

সাকিবের হাতে অধিনায়কত্বের প্লাস পয়েন্ট বা আলাদা উপকারিতা কি জানেন? তরুণেরা লড়ে যায় তার জন্যে, যেন ব্যস্ত থাকে নিজেদের প্রমাণে। মিরাজ, লিটনও যোগ্য ছিল, কিন্তু যে আঁধার ঘেরা সময় পাড়ি দিচ্ছে দল; অতিরিক্ত চাপে যেকোনো সময় তরুণেরা৷ হারাতে পারে মনোবল। আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে। যা আগামীর জন্য খারাপই হবে।

তাছাড়া, বহির্বিশ্বেও আলাদা একটা সম্মান পাওয়া যাবে। কারণ ক্রিকেট ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এই রাজকীয় ফরম্যাটটা মানায় রাজাদেরই শানে। আর দেশের ক্রিকেটের একমাত্র প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হবে। হয়তো সব সময় প্ল্যান-পরিকল্পনা কাজে দেবে না, কিন্তু আগামীর জন্য রেখে যাবে অনুপ্রেরণা।

তবে সব থেকে বেশি যে লাভটা হবে, তা হলো সাকিবের উপর চাপ আসা। আর চাপ মানেই বদলে যাওয়া সাকিব। চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ জানানোই তো সাকিবের নেশা, ফলে এই চাপটাও তাঁর জমে থাকা বারুদে দেবে ঘঁষা। যতবারই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি, বরাবরই জিতেছেন; মাথা উঁচু করে হেসেছেন। অর্থাৎ লড়াই শেষে, সাকিব ফিরেছেন বীরের বেশে। আর এবার কী থেকে কী হবে, তার জন্য অপেক্ষাই ভালো হবে...


আরো সংবাদ



premium cement