দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনে রিভার্স সুইপ শট খেলতে গিয়ে আউট হন মুশফিকুর রহীম। ফিফটি করার পরই তিনি ফেরেন সাজঘরে। অথচ তখন তার ক্রিজে থাকাটা ছিল খুব জরুরি। কারণ তিনিই ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটাসম্যান।
ওই শট খেলে আউট হওয়ায় মুশফিককে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। ওই দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদই যেমন বলেন, অমন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে ওই সময়ে এমন শট তারা আশা করেননি মোটেও।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ৩৩২ রানের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। অনুমিতভাবে উঠে আসে মুশফিকের ওই আউট প্রসঙ্গ। মুমিনুল দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে সতীর্থের পাশে থাকার চেষ্টা করলেন। তার মতে, মুশফিকের ওই শটে তিনি সমস্যা দেখছেন না।
মুমিনুল বলেন, ‘ওয়ানডে, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি, যেসব জায়গায় খেলা হয়, উনি কিন্তু আমি জানি না, আপনারা হয়তো খুব বেশি কথা বলতেই পারেন। কিন্তু রিভার্স সুইপ তো ক্রিকেটের একটা শট, তাই না? ক্রিকেটের বাইরের শট তো নয়। এই শট তো খেলতেই পারেন। উনার গেম প্ল্যানে থাকলে তো খেলবেই। আর এমন নয় যে এটা খেলে উনি রান করেননি বা খুব অসফল। আমার কাছে মনে হয় উনাকে সাপোর্ট করা উচিত এবং আমি সাপোর্ট করি।’
কিন্তু রিভার্স সুইপে ঝুঁকি থাকে বেশি। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক সময় এমন শট না খেললেও চলে। তারপরও মুমিনুল অনুরোধ করলেন সংবাদমাধ্যমকে, আলোচনা না বাড়াতে।
তিনি বলেন, ‘এই শটে উনি সফল কিন্তু! আপনিও দেখেছেন, আমিও দেখেছি। একটা সময় কিন্তু আমার সময়ও ছিল বা অনেকের সময় ছিল। আপনি আপনাদের অনুরোধ করতে পারি, আপনারা যদি জিনিসটা এভাবে আপনারা অনুরোধ মানলে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো, সিরিয়াসলি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা যদি জিনিসটা নিয়ে অনেক বেশি জোর দেন, উনাকে অনেক বেশি বলতে থাকলে এটা উনার নিজের জন্য খারাপ, আমাদের দলের জন্য খারাপ, বাংলাদেশ দলের জন্য খারাপ, আপনার দেশের জন্য খারাপ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা