২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের একটি মুহূর্ত। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সংগ্রহটা বড় হলো না। তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না কেউই। অসি পেসারদের সামলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩১ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এই রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাথে পাল্লা দিতে গেলে বোলিংয়ে খুব ভালো করার বিকল্প নেই।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথেউ ওয়েড। ব্যাট হাতে প্রথম ওভারে স্টার্কের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু না, পুরো ম্যাচে রানের জন্য ধুঁকতে দেখা গেছে প্রায় সবাইকে।

নাঈম শুরু থেকে সাবলিল থাকলেও সৌম্যর থিতু হতে সমস্যা হচ্ছিল। টাইমিংয়ে হচ্ছিল গড়বড়। ফলে পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। আগের তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না ক্রিজে। জশ হেজেলউডের বল স্টাম্পে টেনে এনে হলেন বোল্ড। জায়গা করে নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য। হেইজেলউডও অনুসরণ করেন এই ওপেনারকে। শরীর তাক করে আসা বল কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৯ বলে দুই রান করেন সৌম্য।

পাওয়ার প্লেতে ৩৬ বলের ২৩টিই ডট খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে কেবল চারটি। দুটি করে ছক্কা ও চার- সবই মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে।

রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় বোল্ড হন নাঈম। লেগে সীমানায় তিন ফিল্ডার রেখে বল করছিলেন জাম্পা। লেগ স্পিনারকে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন নাঈম। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি, এলোমেলো হয়ে যায় বেলস। ভাঙে ২২ রানের জুটি। দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৯ বলে ৩০ রান করেন নাঈম।

মন্থর পাওয়ার প্লের পর রানের গতি বাড়াতে ভুগেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ৫৮ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব জুটি বেঁধে এগুতে চেয়েছেন। কিন্তু লম্বা হয়নি তাদের যাত্রাও।

ছক্কার পর বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। এগিয়ে এসে ছক্কার চেষ্টায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অফ থেকে অনেকটা পিছিয়ে গিয়ে বলে চোখ রেখে ক্যাচ মুঠোয় জমান মোইজেস হেনরিকস। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। ২০ বলে এক ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

দ্রুত রানের চেষ্টায় পরে ফেরেন সোহানও। এই কিপার-ব্যাটসম্যানও বুঝতে পারেননি টাইয়ের নাকল বল। অফ স্টাম্পের বেশ দূরের ওভারপিচড বল মারতে চেয়েছিলেন পয়েন্টের ওপর দিয়ে। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মিচেল মার্শ।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। তিনিও ফেরেন হেজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে। স্লোয়ার বল লেগে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। ঠিকমতো পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেন সাকিব।

অনেকের চোখ ছিল শামীম পাটোয়ারির দিকে। কিন্তু ঝড় উঠলো না। স্টার্কের কঠিন ইয়ার্কারে উড়ে গেল তার স্টাম্পের বেল। ৩ বলে তিনি করেন ৪ রান। শেষের দিকে আফিফের ব্যাটেই বলতে গেলে মোটামুটি স্কোরে পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ। স্টার্কের ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হওয়া আফিফ করেন ১৭ বলে ২৩ রান। মেহেদী হাসান অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।

পুরো ইনিংসে বাংলাদেশ চার হাঁকাতে পেরেছে মাত্র ৮টি। ছক্কা তিনটি। ৫০ রান এসেছে চার ছক্কায়। বাকি রান সিঙ্গেলস ও ডাবলসে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হেজেলউড তিনটি, স্টার্ক দুটি এবং জাম্পা ও টাই নেন একটি করে উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন

সকল