২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা : বাদিকে শোকজ

-


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নামে শ্রম আদালতে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। এ মামলায় গুলশানের একটি হোটেলে শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার বাদি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঢাকা জেলার শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো: মাসুদ আলম। ফৌজদারি মামলা নম্বর ৭০/২০২২। মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও জেরাল্ড রেবেরো ও তৌতম ব্রামা নামে আরো দুইজনকে বিবাদি করা হয়েছে। জেরাল্ড রেবেরো ও তৌতম ব্রামা সাঈদ খোকনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী। গত সোমবার প্রথম শ্রম জজ আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল মঙ্গলবার শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান মো: শওকত আলী স্বাক্ষরিত আদেশের কপি হাতে পান বিবাদির আইনজীবী। এই আদেশে সাঈদ খোকনের জামিন আবেদন মঞ্জুর ও ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তথ্য-প্রমাণ ছাড়া মামলা করায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন প্রথম শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান মো: শওকত আলী।

ওই মামলার বিষয়ে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নয়া দিগন্তকে বলেন, মামলাটির সাথে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। গুলশানে যে হোটেলে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে, সেটির মালিকানা বা পরিচালনার সাথে তিনি জড়িত নন। তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলাকে হয়রানিমূলক বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ওই মামলার এজহারে বলা হয়, মামলাটির বাদি ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর রোডের হোটেল লং বিচ পরিদর্শন করেন। তখন তিনি বাংলাদেশ শ্রম আইন মোতাবেক শ্রমিকদের জন্য সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা না থাকা, নির্ধারিত তথ্য সংবলিত শ্রমিক রেজিস্টার সংরক্ষণ না করা, শ্রমিক বা কর্মচারীদের আইন মোতাবেক ছুটি না দেয়া, রেজিস্টার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখেন। পরে লং বিচ কর্তৃপক্ষকে রেজিস্টার্ড ডাকে তাগিদপত্র পাঠান। কিন্তু বিবাদিরা কোনো জবাব প্রদান করেননি। তাই বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, ধারা ৩০৩(৫) এবং ৩০৭ মোতাবেক প্রথম শ্রম আদালতে বাদি হয়ে মামলা করেন মাসুদ আলম। এই মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ব্যবস্থাপক জেরাল্ড রেবেরো, সহকারী ব্যবস্থাপক তৌতম ব্রামার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম শ্রম আদালত সূত্র জানায়, ওই মামলায় বিবাদিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিল। সে মোতাবেক সোমবার দুপুরে আদালতে মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ বাকি দুইজন বিবাদি উপস্থিত হোন। বিবাদিদের আইনজীবী সেলিম আহসান খান বলেন, মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বিবাদি মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নাম দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং লং বিচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। যার ট্রেড লাইসেন্স আদালতে দাখিল করা হয়েছে। অন্য দুই বিবাদিরাও লং বিচের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন। এটি একটি হয়রানিমূলক মামলা। তাই আদালত আমাদের শুনানি গ্রহণ করে বাদিকে শোকজ করেছেন। আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আমরা আশা করি ওই মিথ্যা মামলা করার দায়ে আদালত বাদিকে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্ন ভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের

সকল