২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চট্টগ্রাম-বরিশাল নৌরুটে এমভি তাজউদ্দিন আহমদের পরীক্ষামূলক যাতায়াত

এমভি তাজউদ্দিন আহমদের পরীক্ষামূলক যাতায়াত : নয়া দিগন্ত -

দীর্ঘ ১০ বছর পর বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করেছে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সমুদ্রগামী যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি তাজউদ্দিন আহমদ। আবারো নিয়মিত রুট চালুর অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে শুক্রবার ভোর ৫টায় বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে নোঙর করে। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বরিশাল থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে জাহাজটি।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে জাহাজটি। শুক্রবার ভোর ৫টায় জাহাজটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করে। ঘণ্টায় ১৮.৫২ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন জাহাজটি ১২ ঘণ্টায় প্রায় পৌনে ৩০০ কিলোমিটার উপকূলীয় নৌপথ পাড়ি দিয়ে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার কথা থাকলেও এটি বরিশালে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগে।
যাত্রাপথের মাঝে হাতিয়ায় এক ঘণ্টার যাত্রা বিরতি এবং ভোলার ইলিশার চর গজারিয়াসংলগ্ন মেঘনায় নাব্যতা সঙ্কটের কারণে দুই দফায় ৩ ঘণ্টার মতো নোঙর করে ছিল জাহাজটি। প্রায় ১৯৭ ফুট দৈর্ঘ ও ৩৯.৩৬ ফুট প্রস্থ নৌযানটিতে বিআইডব্লিউটিসি এবং বিআইডব্লিউটিএর বাণিজ্য, মেরিন ও প্রকৌশল শাখার বেশ কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন।
পরীক্ষামূলক এই ট্রিপের ফলাফল বিশ্লেষণসহ সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় যাত্রীবাহী সার্ভিসটির সময়সূচি ও যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল অফিস প্রধান কে এম ইমরান। তবে সার্ভিসটি কবে থেকে নিয়মিত চালু হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
নৌযাটিতে ভ্রমণরত বিআইডব্লিটিসির ডিজিএম গোপাল মজুমদার বলেন, ‘আমরা সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তি পদক্ষেপ নির্ধারণ করব। তবে নৌ পথে নাব্যতা সঙ্কট ও নৌ সঙ্কেত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা’র ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান শিপিং করপোরেশন পশ্চিম জার্মানি থেকে সংগ্রহ করা ৪টি নৌযানের সাহায্যে বরিশাল-নারায়গঞ্জ-চট্টগ্রাম ও বরিশাল-হাতিয়া-সন্দীপ-চট্টগ্রাম রুটে উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু করে। ওই সব নৌযানের মধ্যে ‘এমভি মনিরুল হক’ ও ‘এমভি আবদুল মতিন’ ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে পুনর্বাসনও করা হয়। কিন্তু নানান কারণে ওই সব নৌযান সার্ভিসটি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২০১১ সালের মধ্যভাগে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ

সকল