১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


সচিব সেজে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি

মূলহোতা সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান
-

নিজেদের আইটি সচিব, আইটি সচিবের পিএ ও জমির দালাল পরিচয় দিতো একটি চক্র। এসব পরিচয়ে সম্পদশালী উচ্চবিত্তদের টার্গেট করে সুবিধা মতো ভবনের ছাঁদে টাওয়ার নির্মাণ ও জমি কেনার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। মাদারীপুরের কালকিনি থানার একটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল এ চক্রটি পরিচালনা করেন। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো: মাহবুব আলম। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ ইদ্রিস খান, শাহাব উদ্দিন হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম ও জাহিদ সিকদার।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার বলেন, চক্রটির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কদমতলী থানায় মামলা করেন। আসামিদের প্রতারণার কৌশল অত্যন্ত অভিনব। তারা অর্থবিত্ত ও সম্পদশালীদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। এই চক্রের প্রধান ইদ্রিস। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়া বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতারণার বিষয়ে মো: মাহবুব আলম বলেন, চক্রটি টার্গেটকৃত পরিবারের লোকদের কাছে নিজেদেরকে আইটি সচিব, আইটি সচিবের পিএস ও জমির মালিক হিসেবে পরিচয় দিতো। টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের বিল্ডিংয়ের ছাদে রবি টাওয়ার নির্মাণ, জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কথা বলে ভুয়া বায়নানামা সৃজনের মাধ্যমে আর্থিক লাভের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় জমি ক্রয়ের বানোয়াট বায়নানামা তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল তাদের কৌশল। এ জন্য একজনকে সচিব সাজিয়ে চক্রটি এমন নাটক করত যে, সচিবের কাছে টাকা কোনো বিষয় নয়। সচিব স্যার ২০ লাখ টাকা বায়না করেছে, আপনিও (ভুক্তভোগী) ২০ লাখ টাকা বায়না করেন, এ জমিতে লাভ হবে বলে প্রলোভন দিতো চক্রের সদস্যরা। পরে ভুক্তভোগী টাকা দিলেই লাপাত্তা হয়ে যেত তারা। এ প্রতারক চক্রটি এভাবে শতাধিক প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় বিধায় এ প্রতারক চক্রকে রয়েল চিট এজেন্সি বা আরসিটি বলা হয়। মূলতো এই চক্রটি চালিয়ে থাকেন মাদারীপুরের কালকিনি থানার একটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল। আসামি শাহাব উদ্দিনের বড় ভাই তিনি। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। ডিবি এই সাবেক চেয়ারম্যানকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছে। তিনি আরো কিছু চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন বলে জানা গেছে। সেসব চক্রের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement