পাবনার রূপপুরে করোনা পরীক্ষার ১১টি বুথ বন্ধ
নানা অনিয়মের অভিযোগ- পাবনা সংবাদদাতা
- ২৮ জুলাই ২০২১, ০১:০৭
পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষাকারী অনুমতিপ্রাপ্ত ১১টি বুথ বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অসম প্রতিযোগিতা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বেসরকারিভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত এসব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা করায় এ সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়েছে।
এ সব প্রতিষ্ঠান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তাসহ জেলার সাধারণ মানুষদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ করে আসছিল। বন্ধ ঘোষণা করা এ সব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকা মহানগরীস্থ ডিএনএ সলিউশনসহ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুমোদন প্রাপ্ত ও পাবনা সিভিল সার্জনের শর্তসাপেক্ষ অনুমতি নিয়ে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় কাজ করে আসছিল। এ দিকে হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়াতে আর্থিক ক্ষতিসহ বেশ বিপাকে পড়েছে এ সব প্রতিষ্ঠান।
চলতি মাসের ১৮ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: মো: ফরিদ হোসেন মিঞার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) স্বাক্ষরিত পাবনা সিভিল সার্জন বরাবর পাঠানো এক পত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীস্থ ডিএনএ সলিউশনসহ আর-টিপিআর পরীক্ষার অনুমদনপ্রাপ্ত বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সিভিল সার্জন পাবনার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি নিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে আরটিপিসিআরে পরীক্ষা করছিল। এতে নমুনা সংগ্রহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এরই আলোকে রূপপুর পারমাণবিককেন্দ্র্রে থেকে ঢাকা মহানগরী ও দেশের অন্যান্য জেলায় অবস্থিত বেসরকারি আরটি পিসিআর পরীক্ষার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথ স্থাপনের অনুমতি প্রদান না করার জন্য ঢাকাস্থ ডিএনএ সলিউশন নামক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বুথসহ নমুনা সংগ্রহের অনুমতি প্রদান বাতিল ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ দিকে জেলা সদরসহ দেশের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এলাকা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ১১টি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নমুনা সংগ্রহসহ করোনা পরীক্ষার জন্য এ সব প্রতিষ্ঠান রূপপুরের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তির শর্ত এবং নিয়ম অনুসারে এ সব সেবাপ্রদানকারী বেসকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিকট বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। শর্ত মতে তাদের অনেকের এখনো করোনা পরীক্ষা অসম্পূর্ণ রয়েছে। আর এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত আসায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এ সব সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
বেসরকারিভাবে স্থাপিত ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল্লাহ খান বলেন, গুণগত মান ঠিক রেখে আমরাই প্রথমে বেসরকারিভাবে ঢাকাসহ রূপপুর পারমাণনিবক প্রকল্প এলাকায় করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজ করে আসছি। আমরা কোনো অনিয়ম বা ভুল তথ্য দেই না। স্বাস্থ্য অধিদফতর হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত দেয়ায় আমরা বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমারা অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছিলাম। স্বাস্থ্য অধিদফতর আমাদের একটু সময় দিতে পারত। সময় দিয়ে এই সিদ্ধান্ত দিলে আমরা ক্ষতির মুখোমুখি হতাম না।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার ল্যাবসহ বুথ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলবে। বন্ধ করে দেয়া ১১টি প্রতিষ্ঠানের কোনোটার নিজেস্ব ল্যাব নেই। তারা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠান করোনা পরীক্ষার নামে অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা