কুমিল্লায় শরীফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ ও তার কর্মচারী ফয়েজ আহমেদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা মজুমদার বাড়ির একটি ঘর থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে লালমাই থানা পুলিশ। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা মজুমদার বাড়ির হাসানুজ্জামানের ছেলে শরীফুল ইসলাম (২৮) কয়েক বছর ধরে নিজ বাড়ির সামনে মুদি দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি গরুর ফার্ম পরিচালনা করে আসছিলেন। এতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে ফয়েজ আহমেদ (২৪)। সোমবার রাতে ব্যবসায়ী শরীফ দোকান বন্ধ করার পর তার কর্মচারী ফয়েজকে সাথে নিয়ে বাড়িতে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যান। এ সময় শরীফের বাবা-মা বোনের বাড়িতে ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শরীফের বাবা বাড়িতে এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন শরীফের লাশ ঘরের সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত এবং কর্মচারী ফয়েজের লাশ খাটের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যবসায়ী শরীফ ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু বিক্রি করেছিল। দুর্বৃত্তরা গরু বিক্রির টাকা লুটে নিতে ফয়েজকে হত্যা করে শরীফকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে। সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দক্ষিণ সার্কেল) প্রশান্ত পাল জানান, ওই ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলামের বাবা নিজেই ঘরের দরজা ভেঙে তার ছেলে ও কর্মচারীর লাশ দেখতে পান। ফয়েজের শরীরে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কর্মচারীকে খুন করে ওই ব্যবসায়ী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে এবং কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা