০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৫২ একরে কাঁটাতারের প্রাচীর

লালদিয়ার চরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযান

-

কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী লালদিয়ার চরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল সকাল থেকে কোনো ধরনের বাধার মুখোমুখি হতে হয়নি বন্দর ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত উচ্ছেদ টিমকে। বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগেই মালামাল ও স্থাপনা সরিয়ে নেয়ায় ৫২ একর জায়গাজুড়ে কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এলাকার বাসিন্দারা উচ্ছেদে কোনো বাধা দিচ্ছেন না বরং তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। ওখানে থাকা কাঠামোগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া উচ্ছেদ করা এলাকায় কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান। উচ্ছেদকে ঘিরে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৮০০ জনবল নিয়োজিত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালদিয়ার চর এলাকা পরিদর্শন করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লালদিয়ার চর এলাকায় উচ্ছেদ চলছে। বাসিন্দারা কোনো বাধা দিচ্ছেন না। আমরা বলপ্রয়োগ করতে চাই না। আমরা বলেছি প্রয়োজনে লেবার ও ইকুইপমেন্ট সহায়তা দেয়া হবে। আমরা ওদের সহযোগিতা করছি। বুলডোজার ও স্কেভেটর দিয়ে ভাঙ্গার অভিপ্রায় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য অর্জন হয়েছে। তারা ঢিল ছোড়েননি, শুধু সময় চেয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এটি বন্দরের জায়গা। এখন পিসিটি (পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল) ব্যাকআপের জন্য এই জায়গা আমাদের প্রয়োজন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পক্ষে পেয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ লালদিয়ার চরে উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সেখানকার বাসিন্দারা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি লালদিয়ার চর এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement