২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা

এবি ব্যাংকের চেক ডিসঅনার মামলা
-

প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ আরো তিন পরিচালকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের চেক ডিসঅনার মামলায় আলোচ্য ব্যক্তিদের নামে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এবি ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের খুঁজে পায়নি গুলশান থানা পুলিশ।
এবি ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, প্যারাডাইস গ্রুপভুক্ত দুইটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ২০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। ওই ঋণ পরিশোধ না করায় মঙ্গলবার প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: মোকারোফ হোসেন ও তার স্ত্রী মাহবুবা মোকারোফ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান, পরিচালক মনিয়ার হোসেন ও মোবারক হোসেনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এবি ব্যাংকে প্যারাডাইস স্পিনিং মিলের নামে খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ১২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। একই সময়ে প্যারাডাইস ক্যাবলসের খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই টাকা আদায়ে গত ২৫ জুন এবং ২৩ জুলাই দুইটি নিলামের আয়োজন করে এবি ব্যাংক। একই সাথে টাকা আদায়ে গত ২১ জুন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে (নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টের আওতায়) চেক ডিসঅনারের ফৌজদারি মামলা করে এবি ব্যাংক। ওই মামলায় প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ মোট পাঁচজনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পর ব্যাংকের আদায় বেড়েছে, কমেছে খেলাপি ঋণ। ফলে আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মেও এই ব্যাংকটি। এবি ব্যাংক জানায়, উচ্চ ঋণখেলাপি এবং লভ্যাংশ দিতে না পারায় দীর্ঘদিন শেয়ারবাজারের ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ছিল ব্যাংকটি। এখন ‘বি’ ক্যাটাগরি রয়েছে এবি ব্যাংক।
ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের শেষে এবি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৩৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০১৯ সালের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশে। গত বছর ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০৮ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শত ভাগেরও বেশি। ২০১৯ সালে সাময়িক বিরূপ পরিস্থিতিতেও আমানতকারীরা ব্যাংকের প্রতি আস্থা রেখেছেন। যে কারণে ২০১৯ শেষে আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকায়। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। আমানত বাড়ায় ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ঋণ আমানত হার যথাযথভাবে পরিপালন করতে পেরেছে। অর্থাৎ ৮৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য আর্থিক সূচকগুলোতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানদণ্ড বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৯ সালের হিসাববিবরণী পর্যালোচনায় নিয়ে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement