১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


দরিদ্র কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে

বাপা ফুডপ্রো এক্সপোতে কৃষিমন্ত্রী
-

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে চলতি বছরের আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার ছয় লাখ টন ধান কিনবে। এ ক্ষেত্রে আমরা দরিদ্র কৃষকদের বেছে নেব। তাদের মধ্যে লটারি হবে। ফলে রাজনৈতিক চাপ থাকবে না। সরকারের চাল কেনার ঘোষণায় হয়তো ধানের দাম ১০০-২০০ টাকা বেড়েছে। এটা কৃষকের জন্য সুখবর। ধান-চালের দাম বাড়া বা কমা নিয়ে মন্ত্রণালয় সব সময় উভয় সঙ্কটে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী সপ্তম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন মেরিন সুহ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এসিআই অ্যাগ্রি বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারি। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) প্রেসিডেন্ট আ ফ ম ফখরুল ইসলাম মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেনারেল সেক্রেটারি ইকতাদুল হক ও মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
আন্তর্জাতিক এ মেলায় বাংলাদেশ, ভারত ও চীনসহ ২৫টি দেশের খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। আগামী শনিবার বাপার সপ্তম আসর শেষ হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকার পরও কয়েক দিন ধরে চালের দাম বেড়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসছে। গত এক সপ্তাহে মানসম্মত চালের দাম কেজিপ্রতি চার-পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় চাষের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগও আমাদের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করতে সরকার কাজ করছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে বলেন, অ্যাগ্রো খাতে কয়েক বছরে বাংলাদেশ খুব ভালো করেছে। রফতানি আয় বেড়েছে। ভারত অ্যাগ্রো খাতের বড় একটি বাজার। বাংলাদেশ থেকে বিএসটিআই অনুমোদিত ২১ অ্যাগ্রো পণ্য ভারতে যায়।
এ মেলায় ভারত থেকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, বাংলাদেশ এখন ১৪৪টি দেশে কৃষিপণ্য রফতানি করে। তাই অ্যাগ্রো খাতে যেন কোনো কালি না লাগে। কিছু দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের রফতানি করা গুঁড়ো হলুদে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে, যা ব্যবহারে ক্যান্সারও হতে পারে।
রবার্ট ডগলাস সিম্পসন বলেন, বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য ডায়নামিক ও শক্তিশালী খাত। এ দেশের বেসরকারি খাত খুব ভালো করছে।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রাইভেট খাতগুলো হাতে হাত রেখে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ একদিন সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিজাত পণ্যের রফতানি আয় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। আশা করি আগামী দুই বছরে আমরা এই আয় এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হব।


আরো সংবাদ



premium cement
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার ইংল্যান্ডের এজবাস্টন স্টেডিয়ামে দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়ায় হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি উপজেলা চেয়ারম্যানের ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন চীন-রাশিয়া সম্পর্ক ‘শান্তির জন্যে সহায়ক’ : শি পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন ও কর কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা ১০৮ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন সিঙ্গাপুরকে ‘নিজেদের মতো করে’ চালাতে চান নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু আজ থেকে বাজারে মিলবে চুয়াডাঙ্গার আম

সকল