২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬
`
পরিবেশবাদীদের প্রশ্ন

নদী দখলদারদের স্ব^ার্থেই কি মহাপরিকল্পনা হচ্ছে

-

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা রিভার কিপারের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদীরা প্রশ্ন করেছেন নদী নিয়ে মহাপরিকল্পনা কি দেশের বৃহৎ স্বার্থে হচ্ছে না কি নদী দখলদারদের স্ব^ার্থে হচ্ছে?
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নদী-উদ্ধার তৎপরতা, মহাপরিকল্পনা ও নদীর ভবিষ্যৎ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন হয়। বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য দেন বাপার নির্বাহী সদস্য শারমীন মুরশিদ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়কারী মিহির বিশ^াস, ব্রহ্মপুত্র রিভার কিপার ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ। পরিবেশবাদী অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও পরিবেশবিদরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ডা: মো: আব্দুল মতিন বলেন, মহাপরিকল্পনার বিষয়ে দেশের মানুষ কিছুই জানে না। কি সেই মহাপরিকল্পনা, তা দেশের মানুষের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে। মহাপরিকল্পনা কি দেশের বৃহৎ স্বার্থে হচ্ছে না কি দখলদারদের স্ব^ার্থে হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। বাস্তবে সরকারের নদীর দখলদার উচ্ছেদ কর্মকাণ্ড ক্রটিপূর্ণ। হাইকোর্টের বেঁধে দেয়া নদীর তিনটি অংশÑ তলা, তট ও পাড় (১০ থেকে ৫০ মিটার প্রস্থ) এ তিনটি অংশের ভেতরের সকল স্থাপনা নির্মোহভাবে উচ্ছেদ না করলে এ অভিযান সঠিক ও গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি হাইকোর্টের নির্দেশনার পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করেন। নচেৎ প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের আকাক্সক্ষা ‘মুক্ত নদী প্রবাহ’ অধরাই থেকে যাবে।
লিখিত বক্তব্যে শরীফ জামিল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তুরাগ নদীসহ দেশের সব নদ নদী খাল-বিল জলাশয়ের ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প প্রণয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশন, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউ টিএ, বিএডিসিসহ সব সংস্থা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে অবহিত করবে এবং কমিশনের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, আদালতের রায়ের আলোকে যথাযথভাবে নদীর সীমানা চিহ্নিত করে, দখলকৃত জায়গার সব স্থাপনার তালিকা তৈরি করে ক্ষেত্রভেদে স্থানান্তর, পুনর্বাসন ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তিনি সরকারি সংস্থাগুলোকে দেশের সব নদ নদী খাল বিল জলাশয়ের সাথে সম্পর্কিত সব প্রকল্প ও পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে যথাযথভাবে নতুন প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান।
শারমীন মুরশিদ বলেন, নদী রক্ষা কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। কমিশনকে রিভিউ করা হচ্ছে। এটা বাস্তবায়িত হলে নদী কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। মিহির বিশ^াস বলেন, দেশের নদী সচল রাখার জন্য ১৫০ বিলিয়ন ঘন মিটার পানি প্রয়োজন। সঠিক এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না করে নদীর দু’পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান নদীর গতিপথ সঙ্কুচিত এবং দখলদারদের উৎসাহিত করবে বলে আমরা মনে করি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সারাদেশে আরো ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব গাজাবাসীর সমর্থনে ইয়েমেনের রাজপথে লাখো মানুষের বিক্ষোভ সেতু ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রংপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজুসহ গ্রেফতার ১৭ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ শিবলুর লাশ ফেনীতে দাফন দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই এমন সহিংসতা : প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের জবাবে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে : পলক অস্ত্রবিরতির জন্য হ্যারিসের আহ্বান, সমালোচনায় ইসরাইলি কট্টরপন্থিরা আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

সকল