সাইন বোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন (৫৭), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু (৫৭), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস সালামসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেছেন মোহাম্মদ আলী। মামলার পর পুলিশ আওলাদ হোসেন (৪৮) নামে একজনকে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার বাইশমাইল টাকশু এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে গত ১১ জুলাই দেয়াল ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ, রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মূর্তুজা আলী বাবু, আওলাদ হোসেনসহ ৯৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় গত বুধবার দুপুরে হাইকোর্ট থেকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন আসামিরা।
মামলার বাদি মোহাম্মদ আলী বলেন, আশুলিয়া থানার পাথালিয়া মৌজায় ৪.২৪ একর সম্পত্তি তিনি ও তার তার দুই সহযোগী তাজুল ইসলাম ও আনিছুর রহমান ক্রয় সূত্রে মালিক। ওই জমির বাউন্ডারির মধ্যে কানাডিয়ান কলেজের নামে সাইন বোর্ড ছিল। সাইন বোর্ডটি মামলার আসামিরা গত শুক্রবার সকালে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওই দিন রাতে পুলিশ আওলাদ হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মূর্তুজা আলী বাবু জানান, মামলায় উল্লেখিত ৪.২৪ একর জমি গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের নামে থাকাবস্থায় উল্লেখিত জমিতে বাউন্ডারিসহ গণ স্বাস্থ্য একটি একতলা ভবন নির্মাণ করেছিল। এ ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য মাটি কাটা হয়েছিল। ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জনৈক মোহাম্মদ আলী ও তার সঙ্গীরা ভাড়াটে ক্যাডার দিয়ে কয়েক মাস আগে ওই জমি দখল করে। এরপর মোহাম্মদ আলী ও তার পার্টনাররা ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ডজনখানেক সাজানো মামলা করেছে। এমনকি গণ স্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজের আবাসিক নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। তাদের জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়। পিএইচএ ভবনের গেট ভেঙে ফেলা হয়।
তারা বলেন, মোহাম্মদ আলী গং মামলার পর মামলা দিয়ে জমি দখলে রাখার অপচেষ্টা করছে ও কানাডিয়ান কলেজের নামে বিরোধপূর্ণ জমিতে সাইন বোর্ড লাগিয়ে আবার তারাই ভেঙে আমাদের আসামি করে বারবার হয়রানি করছে।
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক বদরুজ্জামান বলেন, ভাঙচুরের অভিযোগের ভিত্তিতে আওলাদ নামে একজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা