২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ড্রেন আটকে দেয়ায় আশুলিয়ায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী

-

একটু বৃষ্টি হলেই নোংরা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে আশুলিয়া ডিইপিজেড ঘেঁষা পশ্চিম ভাদাইল এলাকার একমাত্র রাস্তা ও সব বাসাবাড়ি। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সেখানকার পাঁচ শতাধিক পরিবার। এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবহৃত ময়লা পানি বাড়িতেই আটকে থাকে। এসব ময়লা পানির কারণে লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ইপিজেডের পোশাক শ্রমিকসহ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লক্ষাধিক লোক ওই এলাকায় বসবাস করে। আগে ওই এলাকার বর্জ্য পানি ইপিজেড পূর্বজোনের ড্রেনের মধ্য দিয়ে বংশাই নদীতে যেত। প্রায় চার মাস আগে ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ ভাদাইল পশ্চিম পাড়ার পানি বের হওয়ার ওই ড্রেনটি আটকে দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা দেয়। ফলে ব্যবহৃত পানি কোথাও নামতে না পারায় বাসাবাড়ি তলিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক শ’ পরিবার।
ডিইপিজেডের পূর্ব জোনের উল্লিখিত ড্রেনটি খুলে দেয়ার দাবিতে ডিইপিজেডসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ভাদাইল পশ্চিম পাড়া এলাকটির ময়লা পানির ওপর ভাসছে। ডিইপিজেডের জিএম সোবাহান মিয়া পশ্চিমপাড়ার পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি আটকে দিয়েছেন। ফলে এলাকার ময়লা আবর্জনাময় ও বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে দুর্গন্ধময় বদ্ধ পানির সঙ্গী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করতে হচ্ছে এখানকার পরিবারগুলোকে।
সরজমিনে দেখা যায়, ময়লা আবর্জনায় এলাকাটি পরিপূর্ণ। ময়লা পানি আর আবর্জনার কারণে পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। এলাকাবাসী জানান, ব্যাংক লোন করে ভাদাইল পশ্চিম পাড়ায় বহুতল ভবন করেছেন অনেকে। পানি আটকে থাকার কারণে ভাড়াটিয়ারা চলে যাচ্ছে, ভাড়াটিয়ারা চলে গেলে ব্যাংক লোনের টাকা কী করে তারা পরিশোধ করবেন এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাদাইল পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দাদের পানিবন্দী হয়ে পড়ার ব্যাপারে তিনি জানেন; কিন্তু ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেনের দরকার তা অনেক ব্যয়বহুল। ড্রেন করতে যে টাকার দরকার তা ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতায় নেই। তিনি বিষয়টি নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement