জেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। স্থানীয় ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করায় শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের আওতায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখর তথ্যনির্ভর আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ পাঠদান পদ্ধতিতে তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে সদরে ১১টি, দৌলতখানে ৫টি, বোরহানউদ্দিনে ৪টি, লালমোহনে ৪টি, তজুমদ্দিনে ৫টি, চরফ্যাশনে ৯টি ও মনপুরার ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
সদরের রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন, শাকিল রায়হান, আবু সাইদ ও মুরাদ হোসেন বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের যে প্রযুক্তি সুবিধা তা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ নতুন। এর আগে আমরা কম্পিউটারের প্রোগ্রামভিত্তিক কাজগুলো বই থেকে মুখস্থ করতাম। ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। এখন আমরা তা সরাসরি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছি। তাই এই ল্যাব শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সদর উপজেলার বাংলাবাজার ফতেমা খানম ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিভাগের প্রধান অমিতাভ রায় বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যবহারিক কাজগুলো খুব সহজেই শিখতে পারছে। একইসাথে কনটেইন ভিত্তিক ক্লাস করার অত্যন্ত উপযোগী এই ল্যাব।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুর রহমান জানান, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ। এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল ল্যাব। এর ফলে শিক্ষার্থীরা গ্রামপর্যায় থেকেই উন্নত দেশের শিক্ষা পদ্ধতির মতই শিক্ষা লাভ করতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, জেলার মোট ৫৭৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে আমরা ৪১টি বিদ্যালয়ে এ ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই ল্যাবের আওতায় আনা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা