১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর উদ্বোধন যেকোনো সময়

-

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে সম্প্রতি শেষ হয়েছে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলেই নবনির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। দ্বিতীয় সেতুটির কাজ সম্পন্ন হলেও সিলেট মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে উড়াল সড়ক ব্যবহার করতে হবে। তবে এ উড়াল সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই মূল সেতু উদ্বোধন করা হবে কি না সেটা অনুমোদনের জন্য প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রকল্পের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম জানান, সেতুিটর পুরোপুরি সুফল পেতে মূল সেতুর সাথে সিলেট মহাসড়কের আন্তঃ সংযোগ (উড়াল সড়কের মাধ্যমে মূল সেতুর সংযোগ) প্রয়োজন। আন্তঃসংযোগের কাজ শেষ হতে আরো ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সিলেটের দিকে যেতে কোনো সমস্যা নেই। মূল সেতুর নিচ দিয়ে ইউটার্ন করে সিলেট মহাসড়কে প্রবেশের জন্য রাস্তার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে সিলেট মহাসড়ক থেকে মূল সেতু দিয়ে ঢাকার দিকে প্রবেশ করতে উড়াল সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। সেতু এবং অ্যাপরোচের কাজ প্রায় শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধনের তারিখ। মন্ত্রণালয় যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেভাবেই কাজ করব বলে তিনি জানান। এ ছাড়া দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধনের পর পুরাতন সেতুর সংস্কারকাজ শুরু হবে। এতে সময় লাগবে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ দিকে দ্রুত নবনির্মিত দ্বিতীয় সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুটির পশ্চিম পাশের্^ অবস্থান সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং পূর্বপাশের্^ সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর ইউনিয়ন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ৫টি পিলারের ওপর নির্মিত নতুন এই সেতুটি স্টিলের গার্ডারের ওপর কংক্রিটের ঢালাইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। ১০০ বছরের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করে সেতুুটির নির্মাণকাজ করেন জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফআই ও আইএইচআই। এক হাজার ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর মোট ব্যয়ের ৭৫ ভাগ অর্থ দিয়েছে জাপানি সাহায্য সংস্থ্যা জাইকা এবং ২৫ ভাগ বাংলাদেশ সরকারের। ৪ লেনের নতুন এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৩ শ’ ৯৭ দশমিক ৫ মিটার আর প্রস্থ ১৮ দশমিক ৩ মিটার।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান বলেন, পুরাতন কাঁচপুর সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পূর্বাঞ্চলের ১৮টি জেলার ৩৩টি রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিন দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছিল। সেতুটি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন সহজ হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরো সচল হবে। এর পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের পূর্বাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মোল্লা তাসলিম হোসেন বলেন, কাঁচপুর প্রথম সেতুটি দুই লেন হওয়ায় এবং যানবাহনের চাপ পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায় মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকে। আশা করি নবনির্মিত দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধন হলে এ মহাসড়কে আর যানজট থাকবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি : মির্জা ফখরুল বগুড়া সদরে ভাই-বোন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তেঁতুলিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত হারালেন ৮ প্রার্থী বানিয়াচংয়ে ত্রিপল মার্ডারের প্রধান হোতা বদি গ্রেফতার গ্রাজুয়েটদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে : জিএম কাদের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের ধর্ষণে প্রতিবন্ধী কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, ফলাফল আজই শাহবাগ থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ নারী নির্যাতন মামলায় ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন অভিযোগকারী বড়াইগ্রামের আগুনে পুড়ল ৫০ বিঘা জমির পান বরজ

সকল