রাজধানীর উত্তরা ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিহত ছয় যুবকের পরিচয় মিলেছে। তবে কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, আড়াইহাজার উপজেলায় চার যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ দু’টি মামলা করেছে। তবে উদ্ধার হওয়া চারজনের পরিচয় শনাক্ত হলেও পুলিশ মামলায় চার যুবকের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। নিহতরা হলো লুৎফর মোল্লা, সবুজ সরদার, ফারুক প্রামাণিক ও জহিরুল হক।
সোমবার (২২ অক্টোবর) সকালে আড়াইহাজার থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিউদ্দৌলা বাদি হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেছেন।
এদিকে গুলিবিদ্ধ চার যুবকের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে লাশের পোশাক দেখে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন নিহতের স্বজনেরা। নিহত সবুজ সরদার, জহিরুল ও ফারুক প্রামাণিকÑ তিনজনই পাবনার আতাইকুলা থানাধীন ধর্মগ্রাম পুষ্পপাড়া এলাকার বাসিন্দা। লুৎফর মোল্লা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার উত্তর আকনবাড়িয়ার কালিবাড়ীর মনসুর মোল্লার ছেলে। সে ঢাকার রামপুরার বাগিচারটেকের এলাকায় বসবাস করে গাড়ি চালাত।
নিহত ফারুকের বাবা জামাল প্রামাণিক বলেন, ১৫ বছর ধরে রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় বাস চালাত। গত সোমবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
সবুজ সরদারের বাবা খাইরুল সরদার জানান, তার ছেলে পেশায় অটোরিকশা চালক। সবুজ ঢাকায় বেকারিতে চাকরি নেয়ার কথা বলে দুই সপ্তাহ আগে গ্রাম ছাড়ে। তার সাথে আরো দুইজন নিখোঁজ আছে কিন্তু মর্গে রাখা দুইজন তারা নয় বলে খাইরুল সরদারের ভায়রা জানান।
জহিরুলের শ্বশুর নজরুল বলেন, জহিরুল বেকারিতে কাজ করত। জহিরুলকে বেকারিতে কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছিল ফারুক। ফারুক ছিনতাইতারী চক্রের সাথে জড়িত বলে শুনেছি। ফারুকই গ্রাম থেকে তিনজনকে শহরে নিয়ে এসেছে কাজ করানোর জন্য।
এদিকে চারজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আড়াইহাজার থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিউদ্দৌলা বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। অপর একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করেন পুলিশ।
প্রসঙ্গত পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নিজেদের মধ্যে ছিনতাই বা ডাকাতির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
তবে নিহত তিন যুবকের পরিবার হাসপাতাল মর্গে অভিযোগ করেছে, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে কয়েক দিন আগে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে। তাদের একজনের নাম কামাল ও অপরজন ইমন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান। তাদের বাড়ি ফরিদপুরে। তাদের আত্মীয়স্বজন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেছেন।
গত শনিবার উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের একটি কাশবন থেকে ওই লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। লাশ দু’টি পচে গলে গেছে। স্থানীয়রা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা