০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অনুসারীসহ কাদের মির্জাকে গ্রেফতারের দাবিতে ১২ ঘণ্টার হরতাল

অনুসারীসহ কাদের মির্জাকে গ্রেফতারের দাবিতে ১২ ঘণ্টার হরতাল - ছবি- সংগৃহীত

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার চলমান হরতাল আরো ১২ ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দেকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের মুখপাত্র মাহবুব রশিদ মঞ্জু তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এই ঘোষণা দেন।

২৮ মিনিটের বক্তব্যে এ সময় তিনি বলেন, আমরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ- বসুরহাটের মেয়র কাদের মির্জা ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী যারা কোম্পানীগঞ্জে তাণ্ডব চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে বারবার বলার পরও তারা কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকতে বাধ্য হয়েছিলাম। কোম্পানীগঞ্জে এত নির্যাতন চলছে, অত্যাচার চলছে, অথচ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও প্রশাসন বসে বসে দেখছেন।

তিনি বলেন, যে সর্বাত্মক হরতাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালন করেছেন আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। আজকে আমাদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত এনেছেন কাদের মির্জা। আজকে বসুরহাট বাজারে আমাদের নেতাকর্মীরা উঠতে পারেন না। আমরা বসুরহাট বাজারে সমাবেশের কথা বললে প্রশাসন ওপরের মহলের দোহাই দেয়। অথচ চাঁদাবাজ, খুনি কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে বসে সন্ত্রাসকে লালন করছেন। সন্ত্রাসের চারণভূমি বানাচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জকে অশান্ত করে ফেলেছেন। তার প্রতিকার আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। ৪৮ ঘণ্টা পার হতে চললেও মির্জাসহ তার দোসরদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাই এদের গ্রেফতারের দাবিতে হরতাল বাড়িয়ে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত করা হলো।

রাত ১২টার মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে এরপর কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন কাদের মির্জার ভাগ্নে মঞ্জু।

উল্লেখ্য, ১২ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাদলের ওপর বসুরহাট উত্তর বাজারে হামলা চালায়। এতে বাদল ও সাথে থাকা সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলাল গুরুতর আহত হন। পরে বাদলকে ঢাকার ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এই হামলার প্রতিবাদে ওই দিনই ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেছিলেন মঞ্জু।


আরো সংবাদ



premium cement