১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


চট্টগ্রামে গত ১২ দিনে করোনায় কেউ মারা যায়নি

চট্টগ্রামে গত ১২ দিনে করোনায় কেউ মারা যায়নি - ছবি - সংগৃহীত

চট্টগ্রামে নতুন ৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এদিন আরোগ্যলাভকারী করোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৬৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫২ জন ও চার উপজেলার ১৬ জন। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, হাটহাজারীতে ৫ জন, চন্দনাইশে ৩ জন এবং রাউজানে ২ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৩ হাজার ৪২৩ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ১০৪ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৩১৯ জন।

শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২৬৮ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৩৯ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ১৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ২৬৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৬ হাজার ৭৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে শুক্রবার যুক্ত হন ৮ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৯ জন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার মৃত্যুশূন্য দিনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় একটানা ১২ দিন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি। সেদিন নতুন ৯২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ছিল ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এছাড়া, গত মাসের শেষ ১৯ দিন বাহক সংখ্যা একটানা একশ’র নিচে থাকলেও গত ১ ফেব্রুয়ারি ১০৮ নমুনায় জীবাণু পাওয়া যায়। চলতি মাসে এ একদিনই করোনাবাহকের সংখ্যা শতক ছাড়িয়ে যায়। এর আগে চট্টগ্রামে একশ’র বেশি ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয় ১২ জানুয়ারি। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এছাড়া, তিন মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২৯ জানুয়ারি। এদিন ১ হাজার ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ছিল করোনাকালের সর্বনি¤œ ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

ল্যাবভিত্তিক গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৬ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৭৫ জনের নমুনার মধ্যে ৩ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৭টি ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৮টি নমুনার ১২টির রেজাল্ট পজিটিভ আসলেও মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২টি নমুনার একটিতেও জীবাণুর অস্তিÍত্ব পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের ৬৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

তবে এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, চমেকে ০ দশমিক ৮০, চবি’তে ৪২ দশমিক ৫০ এবং ইম্পেরিয়ালে ৩১ দশমিক ৫৮ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। তবে মা ও শিশু হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ডোলান্ড লু’র সফরকে কেন্দ্র করে কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন : রিজভী দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, নাবিকদের কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন স্বজনরা বাকেরগঞ্জে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ডিমলায় মাদরাসা-শিক্ষকের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই শ্রম আইন সংশোধনে কিছু বিষয়ে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে : আইনমন্ত্রী দুবাইয়ের হিমঘরে সাড়ে ৩ মাস ধরে পড়ে আছে প্রবাসীর লাশ আলমডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ট্রাকচাপা স্ত্রী নিহত হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির টাকা নিলেই ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গাজায় চলছে প্রচণ্ড লড়াই বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর করবে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল

সকল