ফেনীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুইজনের করোনা পজেটিভ এসেছে। রোববার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই দফায় ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ প্রতিবেদন আসে। এদের মধ্যে চিকিৎসক-পুলিশ ছাড়াও দুইজন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন। এদের একজনের বাড়ি সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিজয়সিংহ ও অপরজন সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে।
সূত্র আরো জানায়, ফেনী শহরতলীর পশ্চিম বিজয়সিংহ গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ নারী শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১১ মে সোমবার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন রাত ৯টার হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। পরদিন সকালে নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অপরদিকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মবর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডর দীর্ঘদিন লিভার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। গত প্রায় একমাস তিনি ছুটি নিয়ে রাজধানীর ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ মে তিনি মারা যান। তার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হলে পজেটিভ আসে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, করোনা পজেটিভ আসা দুইজনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছ।
সূত্র আরো জানায়, এ পর্যন্ত ১ হাজার ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। শনিবার পর্যন্ত ৮শ ৭৪ জনের ফলাফল পাওয়া যায়।
ফেনীতে চিকিৎসকসহ এখন পর্যন্ত ৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ফেনী সদরের ২২ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগভূঞায় ৯ জন, সোনাগাজীতে ৬ জন, ফুলগাজীতে ৪ জন, পরশুরামে ৪জন ও অন্যান্য আরো ৩ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ ও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা