১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত আরো ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

- নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরো দুই রোহিঙ্গা পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের জমির আহাম্মদের ছেলে মো: আব্দুল করিম (২৪) ও একই ক্যাম্পের একই ব্লকের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭)। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত নুর মোহাম্মদসহ পাঁচজন পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো।

নিহত আব্দুল করিম ও নেছার আহাম্মদের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার মংডু থানার বুচিদং হাসুরতা ও বুচিদং পুইমালী এলাকায় বলে জানা গেছে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশ দাবি করেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার একাধিক পলাতক আসামি জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছানোমাত্র সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বলেও দাবি তার।

ওই দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

বৃহস্পতিবার রাতের অভিযনে টেকনাফ থানার এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ নাবিল ও রবিউল ইসলাম সামান্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে পাহাড়ের কাছে গুলি করে হত্যা করে।


আরো সংবাদ



premium cement