১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত : শ্রিংলা

-

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন,‘দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত। প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল ভারত সরকার। এটা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। কয়েক দফায় ত্রাণও পাঠানো হয়েছিল। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়া বালুখালী ১২ নাম্বার ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত সংকট মোকাবেলায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারত সরকার ইতোমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৫০ টিনশেড ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। যা কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। যেখানে রোহিঙ্গারা থাকবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম।ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের সহযোগিতা স্বরূপ রোহিঙ্গাদের শরণার্থীদের জন্য ‘অপারেশন ইনসানিয়াত’র তৃতীয় চালান হস্তান্তর করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
ভারত থেকে সোমবা সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আসা তৃতীয় দফার ত্রাণ সামগ্রী দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।তৃতীয় দফায় এসেছে ১০ লাখ ১০ হাজার লিটার কেরোসিন তেল ও ২০ হাজার স্টোভ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান হাইকমিশনার। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব রাজেশ উইকে, নবনীতা চৌধুরী, অ্যাটাশে (প্রেস) রঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এর আগে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ৫৩ টন খাদ্য সামগ্রী পাঠায় ভারত। তার মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, লবণ, বিস্কুট, গুঁড়ো দুধ, নুডলস, সাবান, মশারি ও তেল।
মানবিক এ সহযোগিতার স্মারক হিসেবে সবশেষ চলতি বছরের মে মাসে ১০৪ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য, ৫০ হাজার রেইনকোট এবং ৫০ হাজার গাম বুট পাঠায় ভারত। যা চট্টগ্রামে হস্তান্তর করেন শ্রিংলা।


আরো সংবাদ



premium cement