তিনফসলী কৃষিজমি অধিগ্রহণ না করার দাবীতে ও জোরপূর্বক এস্কেবেটর দিয়ে জমি খননের প্রতিবাদে মিরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালতে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে কৃষকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরসরাই চরাঞ্চলের মালিকানা জমি রক্ষা ফোরামের উদ্যোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চরাঞ্চলের পূর্ব ও পশ্চিম ইছাখালী এবং চরশরত মৌজার বেড়িবাঁধ এলাকার কৃষি জমির মালিকরা দাবী করেন, একটি অসাধু চক্র সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চলের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনফসলী কৃষিজমি অধিগ্রহণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এস্কেবেটর দিয়ে অনেক জমি ভরাট ও খনন করা হচ্ছে।
চরাঞ্চলের মালিকানা জমি রক্ষা ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরাঞ্চলের মালিকানা জমি রক্ষা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ডিপটি, সমন্বয়ক নিজাম উদ্দিন, অহিদুজ্জামান, নিজাম ভূঁইয়া, শেখ ফরিদ উদ্দিন গাজী, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা খোরশেদ আলম, সাইফ উদ্দিন প্রমুখ।
মিরসরাই চরাঞ্চলের মালিকানা জমি রক্ষা ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক বলেন, পূর্ব ও পশ্চিম ইছাখালী মৌজার ৬ নম্বর সীট থেকে ১০ নম্বর সীট পর্যন্ত এবং চরশরত মৌজার আংশিকসহ বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন পূর্ব ও পশ্চিম পাশের্^র আংশিক কৃষি জমি ও মৎস্য খামার রয়েছে যার আর.এস, পি.এস, বি.এস খতিয়ানভূক্ত নামজারী চূড়ান্ত করা এবং ৫ হাজার দাগ সম্পূর্ণ মালিকানাও তিনফসলী জমি। এসব জমিগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষাবাদ ও মৎস্য উৎপন্ন হয়। ওইসব জমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে একটি মহল অধিগ্রহণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং এস্কেবেটর দিয়ে মাটি খনন করছে। অনতিবিলম্বে বন্ধ না হলে আরো তীব্র আন্দোলন করা হবে।
মিরসরাই চরাঞ্চলের মালিকানা জমি রক্ষা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ডিপটি, সমন্বয়কারী অহিদুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে তিনফসলী জমিতে কোনপ্রকার শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে না। ইতিমধ্যে সরকার চরাঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার খাসজমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে একটি মহল তিনফসলী জমি অধিগ্রহণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, যাতে করে মানা হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও।
তারা আরো বলেন, উপকূলীয় বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে মুহুরী প্রজেক্ট থেকে ডোমখালী পর্যন্ত সন্দ্বীপ চ্যানেল সংলগ্ন প্রায় ৫০ হাজার একর অনাবাদী খাসজমি রয়েছে তা মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য যথেষ্ঠ।
এই বিষয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মহসিন বলেন, এখানে কৃষকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমাদের টিম দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দাবী ধাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুঝবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা