১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


যৌতুক দাবি করে নির্যাতন, অতঃপর মৌসুমির মৃত্যু

যৌতুকের - নয়া দিগন্ত

লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শৈরশৈই গ্রামের দাই বাড়িতে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতিত মৌসুমি ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবগত রাত ১২টায় না ফেরার দেশে চলে যায়। ঘাতক স্বামী ইমাম হোসেনের ফাঁসী দাবীতে ফুসে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়াও রামগঞ্জ উপজেলাসহ দেশ-বিদেশে ফেসবুকে খবরটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার পিতা বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ করেন।

সূত্রে জানায়, উপজেলার শৈরশৈই গ্রামের আবুল কালামের মাদকাসক্ত ছেলে ইমাম হোসেন চলতি মাসের ৩রা আগস্ট বৃহস্প্রতিবার রাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় বসতঘরে প্রবেশ করে পূর্ব থেকে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় মৌসুমিকে মারধর করে। এক পর্যায়ে স্টিলের টর্চ লাইট দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করায় মৌসুমির মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে।

শশুর আবুল কালাম, স্বামী ইমাম হোসেন মৌসুমিকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সিসিওতে ভর্তি করে ঘাতক স্বামী ইমাম হোসেন, শশুর আবুল কালাম পালিয়ে যায়। মৌসুমিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি সংবাদ পেয়ে মৌসুমির স্বজনেরা মেডিকেলে গিয়ে তাকে চিকিৎসার ১২দিন পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৌসুমি মারা যান।

মৌসুমির বাবা ছিদ্দিক মিয়া জানান তিনি একজন দিন মজুর। উন্নত চিকিৎসাও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে মৌসুমির মৃত্যু হয়েছে।মৌসুমির চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শশুর আবুল কালামকে একাধিকবার চেয়ারম্যান, মেম্বার মাধ্যমে অনুরোধ করার পরও মৌসুমিকে চিকিৎসা খরচ কিংবা দেখতে যায়নি। মৌসুমিকে গত দু’বছর আগে ইমাম হোসেন বিয়ে করেন। তাদের এক বছরের একটি শিশু পুত্র রয়েছে। মৌসুমির পিতা আবুল কালাম ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন মামলা না করে দু’পক্ষের সমঝোতার কথা বলেন।

থানা ওসি তোতা মিয়া জানান হত্যার ঘটনায় মামলা হবে। এর পূর্বে উক্ত ঘটনায় পুলিশ ঘাতকের বাড়ি গিয়ে কাউকে পায়নি।

আরো পড়ুন : ঘুমন্ত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে, অতঃপর...
আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) (১২ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩৩)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গৃহবধূ সালমা আক্তার খুনের রহস্য উদঘাটনে ৯ দিন পর সফলতার মুখ দেখেছে পুলিশ। ঘাতক স্বামী মো: বেলাল হোসেন নিজেই স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।

নিহতের স্বামী মো: বেলাল হোসেনকে এজাহারভুক্ত আসামি দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা মো: নেজাম। ঘাতক বেলাল হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং শ্বশুর মো: মমতাজ উদ্দীন ও শাশুড়ি শিরিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার নামার তিনটহরী গ্রামের মো: মমতাজ উদ্দীনের ছেলে মো: বেলাল হোসেনের (২৬) ৫ বছর আগে চট্টগ্রামের মো: নেজামের মেয়ে সালমা আক্তারের (২২) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি শিশুপুত্র রয়েছে।

সম্প্রতি বেলাল ইয়াবা সেবন ও পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একাধিকবার ঝগড়ার পাশাপাশি কিছুদিন আগে বেলাল হোসেনকে শ্বশুরালয়ে গেলে নির্যাতনও করা হয়। ফলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গত রমজান মাসের পর বেলাল স্ত্রীকে নিয়ে পৃথক হয়ে বসবাস শুরু করেন।

৩১ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তাদের বাড়িতে চিৎকার শুনতে পেয়ে বেলালের পিতা ও ছোট ভাই সাগর হোসেন সেখানে ছুঁটে যান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন যে, বেলাল হোসেন এবং তার স্ত্রী সালমা আক্তার (২২) রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে ছটপট করছেন। পরে তারা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় সালমার। আহত বেলাল হোসেনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার পর পর মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেন এবং ওই দিনই নিহতের পিতা মো: নেজাম মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য স্বামী মো: বেলাল হোসেনকে এজাহারভুক্ত আসামি দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘাতক স্বামী বেলাল হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং শ্বশুর মমতাজ উদ্দীন ও শাশুড়ি শিরিনা আক্তারকে আটক করে।

অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদের নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আবদুল্লাহ আল মাসুদ গত ৯ দিনে ব্যাপক তদন্তসহ আসামীদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘাতক স্বামী মো: বেলাল হোসেন গত ১০ আগস্ট খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।

স্বীকারোক্তিতেক ঘাতক বেলাল হোসেন জানান, তাকে শ্বশুরালয়ে নির্যাতন এবং পুলিশে দেয়ার ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা নেন। ঘটনার রাত আনুমানিক আড়াইটায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে প্রথমে পেটে ছুরিকাঘাত করলে স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পালাতে চেষ্টা করে। এ সময় তিনি দৌড়ে গিয়ে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত এবং এক পর্যায়ে গলা কেটে দেন স্ত্রীর।

পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তিনি নিজের গলায় ছুরিকাঘাত করেন এবং চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে তার বাবা, ভাই, মা-সহ লোকজন ছুটে আসেন।

আরো পড়ুন : গাজীপুরে পোশাককর্মী স্ত্রীকে খুন করে পালিয়েছে স্বামী
গাজীপুর সংবাদদাতা, ০৩ আগস্ট ২০১৮
গাজীপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে এক পোশাককর্মীকে কুপিয়ে খুন করে তার স্বামী পালিয়েছে। গতকাল পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম চম্পা (২৩)। তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার বালির হাওলা গ্রামের নুরুল ইসলাম গাজীর মেয়ে। গাজীপুর জেলা সদরের এনএজেড পোশাক কারখানার চাকরি করতেন চম্পা।

হোতাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো: সাইফুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিজমাওনা এলাকার বাসিন্দা মো: ইসমাইলের ছেলে রফিকুল ইসলামকে প্রায় ১০ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন চম্পাকে। এটি তাদের দ্বিতীয় বিয়ে। তারা দু’জনই একই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তাদের এ সংসারে সাত বছরের তামিম নামের এক ছেলে রয়েছে।

বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সম্প্রতি রফিক গোপনে তৃতীয় বিয়ে করেন। এ বিয়ের খবর প্রকাশ পেলে রফিক ও চম্পার সম্পর্কের আরো অবনতি হয়। কয়েক মাস আগে চম্পা তার ছেলেসহ গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল গড় ইউনিয়নের নয়নপুর এলাকায় মনু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় আলাদা বসবাস শুরু করেন।

গত বুধবার রাতে রফিক তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পার বাসায় আসেন। তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে রাত আড়াইটায় রফিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে চম্পাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চম্পা নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গতকাল ভোরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়েছে স্বামী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা, ৩০ মে ২০১৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে স্বামী।

জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের আব্দুল সাত্তার মিয়া পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের স্ত্রী জোসনা বেগমকে (৪২) বটি দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

তবে নিহত জোসনা বেগমের ঘাতক স্বামী আব্দুল সাত্তার পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক জানান, রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে সাত্তার মিয়া তার স্ত্রী জোসনা বেগমকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ ছিল তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে টাকা নিয়ে ঝামেলা ছিল তাদের মধ্যে। সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বিক্ষোভ বাড়ছে আগামীকাল বঙ্গোপসাগর এলাকায় শুরু হচ্ছে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ২টি গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ‘কিরগিজস্তানকে আমাদের গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি, কোনো বাংলাদেশী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়নি’ আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে : জিএম কাদের গোপনে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ, ভারতীয় জাহাজ আটকে দিলো স্পেন বন্ধুর বাড়ি থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার রাণীনগরে ১৪ কেজি ওজনের লক্ষ্মী-নারায়ণ মূর্তি উদ্ধার কিরগিজস্তানে থাকা আতঙ্কিত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরতে চায় আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করে দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে : মোবারক হোসাইন ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী

সকল