১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


উখিয়ার পালং গার্ডেন এখন রোহিঙ্গা সেবাকেন্দ্র

পালং গার্ডেনে এখন বিয়ের আয়োজন নেই এনজিওর দখলে সেবাকেন্দ্র। ছবি - নয়া দিগন্ত।

এক সময়ে উখিয়ার একমাত্র কমিউনিটি সেন্টার পালং গার্ডেন ছিল বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ যা সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। বিয়ে সামাজিক বন্ধন। এছাড়াও এই কমিউনিটি সেন্টারে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজিক সংগঠনের ব্যানারে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতো। উখিয়ার ঐতিহ্যের পালং গার্ডেন এখন শুধু রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে আসা এনজিও সংস্থার অফিস হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে।

উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়নের হিজলিয়া পালং এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে মনোরম নিরিবিলি পরিবেশে এই পালং গার্ডেনের অবস্থান। পালং গার্ডেনে এখন বরযাত্রী ও কনে পক্ষের লোকজন প্রবেশ করতে পারছে না। প্রবেশ করছে বিদেশি সংস্থাগুলোর গাড়ি। বর-কনে ও স্থানীয়দের প্রবেশে স্বঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশি-বিদেশি এনজিও সংস্থাগুলো। অথচ কদিন আগেও বর ও কনে পক্ষের নিয়মিত যাতায়াত বা রাতযাপন ছিল।

পালং গার্ডেন সূত্রে জানা যায়, বর-কনে নয়, বিদেশি সংস্থাগুলোকে দিয়ে দেয়ায় বেশি লাভবান হচ্ছে পালং গার্ডেন।প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, পালং গার্ডেন উখিয়ার ঐতিহ্য বহন করে। সেই পালং গার্ডেন আজ হারিয়ে যাচ্ছে। পালং

গার্ডেনের নিরাপত্তা কর্মী রেজাউল ইসলাম জানান, পালং গার্ডেনে এখন আর কোনো বিয়ে শাদি বা যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্যে ভাড়া হয় না। পালং গার্ডেন এখন আর নেই। এটা এখন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। এখানে সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিশেধ রয়েছে। অনুমতি পেলেই তাহলে যেতে পারবে। তবে উখিয়ার সচেতন মহল বলছে, বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেয়া মানেই শুধু বর-কনের কাছ থেকে নয়, পালং গার্ডেনকে উখিয়াবাসীর কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

উখিয়ার সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের সভাপতি নুরুল কবির মাহমুদ বলেন, এভাবে যদি উখিয়ার ঐতিহ্যগুলোকে সংরক্ষণ না করে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলে উখিয়ার সামাজিক পরিবেশে বিরুপ প্রভাব পড়বে।

উখিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম বলেন, বিদেশি এনজিওগুলো আমাদের কলেজের সুন্দর পরিবেশ কেড়ে নিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ রুম পর্যন্ত বিদেশি এনজিওগুলো রোহিঙ্গা সেবা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় পড়ালেখায় মারাত্নক ক্ষতি হয়েছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যা করছে তা আমাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের শামিল। তারা আমাদের কাছ থেকে স্কুল-কলেজ এবং পালং গার্ডেনসহ বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সেবার বিরুদ্ধে নই। আমাদের কথা হলো বিদেশি এনজিওগুলো আমাদের শিক্ষা সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কেড়ে নিতে দেয়া হবে না। তাদের প্রয়োজনে জমি ক্রয় করে নিজস্ব কার্যালয় তৈরি করুক তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি সেখানেই, যেখানে পালং গার্ডেনের মতো সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং উখিয়া ডিগ্রী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে রোহিঙ্গা সেবা করবে। তাতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে উখিয়া ডিগ্রী কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী

সকল