ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর মডেল থানা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে নৈশপ্রহরী রাসেল মিয়া (১৯) নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার তিনদিনেও রেকর্ড করেনি পুলিশ।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত রাসেলের মা আমেনা বেগম পৌর মেয়র নায়ার কবিরের ভাতিজা আসিফ ইকবাল খানকে প্রধান আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় এজহার জমা দিয়েছেন। এজহারে উলেখিত বাকি তিন আসামি হলেন, সুমন, রাজেশ ও সাইদুজ্জামান আরিফ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জেলা শহরের সিটি সেন্টারের স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল খান তার দোকানে চুরির অভিযোগে গত সোমবার ব্যাংকের এটিএম বুথের নৈশপ্রহরী রাসেলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অন্য আসামিদের সঙ্গে নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটায়। পরে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে সদর থানায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেলকে থানায় চিকিৎসার জন্য পাঠাতে বলেন। এরপর আসিফ ও সুমন তাকে থানা ভবনের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। পরবর্তীতে রাসেলকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান রাসেল। এ ব্যাপারে ওসি নবীর হোসেন শুক্রবার দুপুরে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। এর আগে গত সোমবার ভোরে সিটি সেন্টারের স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউসে চুরি সংগঠিত হয়। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল খোয়া যায় বলে দাবি করে স্বপ্নলোক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওইদিনই স্বপ্নলোকের কয়েকজন কর্মচারী ও সিটি সেন্টারের নৈশ্যপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। রাসেলকে আটকের পর পুলিশের বিরুদ্ধেও তার উপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছিল নিহত রাসেলের পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নবীর হোসেন বলেন, নিহতের মার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা