বাতাসে শব্দে আতঙ্কিত বেতাগীর বিষখালী নদীর তীরবর্তী মানুষ
- বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২৬ মে ২০২৪, ২০:০৯
উপকূল এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত, বাতাসে গতিবেগ বেড়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী মানুষ মনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। বরগুনার বেতাগীতে রোববার সন্ধ্যার পরেই শুরু হয় বাতাসে শো শো শব্দ। দুপুর থেকে উপজেলায় নেই বিদ্যুৎ। অন্ধকারে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়েছে।
বেতাগী উপজেলা পায়রা নদী-সংলগ্ন এবং বিষখালী কোলঘেঁসে।
পায়রা নদী বন্দর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী অংশ হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে দুপুরে বিষখালী নদীতে স্বাভাবিক জোয়াড়ের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পায়।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উপ-পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সতর্কসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জেলে ও মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
বিষখালী নদীর তীরবর্তী কিছু এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে। বেতাগীতে সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে ওই এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে। উপজেলার কালিকাবাড়ি, ভোড়া, বদনীখালী এলাকা দুপুরে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় বেড়িবাঁধের ওপর থেকে পানি উপড়ে পড়ছে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয়ের জন্য উপজেলায় ১১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫৭টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ১০টি মেডিক্যাল টিম, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে চারটি দল গঠন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি উদ্ধারকারী দল। জনসাধারণকে সচেতন করতে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস বেতাগী ইউনিটের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, কাজীরাবাদে একটি গাছ উপড়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা