২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাস্তার পাশে ফুটেছে অপরূপ ‘সোনালু’

- ছবি - নয়া দিগন্ত

জৈষ্ঠ্যের এই প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ওষ্ঠাগত তখন একটু গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেয় তৃষ্ণা মেটাতে। আর এই সময় প্রকৃতি সেজে উঠে অপরূপ সাজে। বসন্তে পাতা ঝেরে ফেলে গ্রীষ্মে জন্ম নেয় নতুন পাতা। ফুল ফুলে ছেয়ে যায় সবুজ গাছ। পাতা ছেড়ে ফুলের পাঁপড়িতে যেন রঙময় হয়ে উঠে প্রকৃতি। গ্রীষ্মের তাপদাহে পথচারীরা অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য।

ছড়া-কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এসেছে এই ফুলের সৌন্দর্যের বর্ণনা। শোভাবর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদে জন্মে থাকে। এ গাছের কদর না থাকলেও, এর কাঠ তুলনামূলক দামি না হওয়া এবং ভালো কোনো ব্যবহারে না আসায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছ বপনে আগ্রহ অনেক কম। গ্রীষ্মের খরতাপে প্রকৃতিতে প্রাণের সজীবতা নিয়ে যেসব ফুল ফোটে তার মধ্যে সোনালু উল্লেখযোগ্য। ঝাড়বাতির মতো ঝুলে থাকা এ ফুলগুলো চারপাশ আলোকিত করে রাখে। বড় বড় থোকায় হলুদ-সোনালি রঙের ফুল চলতি পথে পথিকের নজর কাড়বেই।

গ্রীষ্ম রাঙানো এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি তার নামের বাহার সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠি ইত্যাদি। পুষ্পিত সোনালু তখন যেন কাঁচা সোনা রঙে আবৃত। ফুলের এমন শোভার কারণেই এ ফুলের ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার। বৈশাখী হাওয়ার পরশে এর থোকাগুলো দুলতে থাকে কানের দুলের মতো। আর হলুদ বরণ সৌন্দর্য মাতোয়ারা করে রাখে চারপাশ। দিন দিন কমে আসছে সোনালুর সংখ্যা। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেন, এ গাছের কাঠ খুব একটা দামী নয় বলে কিংবা গাছটি খুব ধীরে বাড়ে বলেই কেউ আর তেমন উৎসাহ নিয়ে সোনালু গাছ রোপণ করেন না। প্রাকৃতিকভাবে যা হয়, তার ওপর ভর করেই হলুদ-সোনালী রঙের সৌন্দর্য বিতরণ করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে সোনালু।

পথে প্রান্তরের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া, স্বর্ণাভ হলুদ সোনালু যেন পাঁপড়ির পেখম মেলে বসেছে এবং ঝুমকোর মতো পাঁপড়ি দুলছে সোনালু রঙিন ফুল। গ্রীষ্মের এমন খরতাপেও প্রকৃতিজুড়ে এসব ফুলের নান্দনিকতায় চোখ জুড়িয়ে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আরাফাত হোসন বলেন, সোনালু গাছটাকে স্থানীয়ভাবে অনেক নামে ডাকে। তবে এসব গাছ রাস্তার পাশে এমনকি বাড়ির আশে-পাশে জন্মে থাকে। এ গাছের প্রয়োজনীয়তা তেমন নেই। তাই এ গাছ তেমন রোপন করা হয় না। বৈশাখের সময়ে রাস্তার পাশে গাছে গাছে দেখা যায় যেন সোনালী রঙ ছড়িয়ে আছে। তবে আমাদের প্রকৃতিকে সাজিয়ে রাখতে এবং পরিবেশের ভারসাম্যে বজায় রাখতে এসব গাছের চারা রোপন করা একান্ত প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু

সকল