০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্ত্রীর ভাবির সাথে পরকীয়া দেখে ফেলায় হত্যা : শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গ্রেফতার স্বামী সিরাজুস সালেকীন ও ভাবি স্কুলশিক্ষিকা আয়শা খানম। - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শাম্মী আক্তারের (৪০) ভাবির সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন স্বামী সিরাজুস সালেকীন (৩৩)। স্বামী ও ভাবি আয়শা খানমকে (৫০) অনৈতিক কাজে দেখতে পাওয়ায় শাম্মীকে হত্যা করেছেন তারা। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকাল ১০টায় শহরের কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

শাম্মী মঠবাড়িয়া পৌরশহরের কে.এম লতীফ সুপার মার্কেটের শাম্মী বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী।

সিরাজ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহম্মদ আলীর ছেলে। আয়শা মঠবাড়িয়া শহরের কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র শিক্ষিকা ও পাশের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের এমাদুল হকের স্ত্রী।

এদিকে এ হত্যার ঘটনায় শহরের কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষিকা আয়শা খানম ও নিহত শাম্মীর স্বামী সিরাজুস সালেকীনের দ্রুত বিচার দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেয় স্কুলশিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, গোলাম রাব্বি, কামরুল হাসান, মো: রাকিব ও মো: ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এ সময় ব্ক্ষিুব্ধ শিক্ষার্থীরা হত্যায় জড়িত বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আয়শা খানমকে বহিষ্কার ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।

জানা গেছে, বিউটিশিয়ান শাম্মি আক্তারের সাথে ফিরোজ আলমের প্রথম বিয়ে হয়। তাদের দু’সন্তান থাকা অবস্থায় ১২ বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শাম্মী বিউটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করেন। যা দিয়ে দু’সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত দু’বছর আগে সিরাজুস সালেকিন নামে এক তরুণের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। আপন ভাবি স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খান এ বিয়ের মধ্যস্ততা করেন।

এক সপ্তাহ আগে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে শাম্মীর স্বামী সালেকিন ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া আসেন। বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য রোববার রাতে স্বামী সালেকিন ও ভাবি আয়শা খানম তাদের থানাপড়ার ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। রাতের খাবার শেষে শাম্মি তার স্বামীকে নিয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের আলাদা কক্ষে ভাবি ঘুমান। রাত ৩টার দিকে শাম্মি ঘুম থেকে জেগে স্বামীকে বিছানায় না পেয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে ভাবির কক্ষে ঢুকে দু’জনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায় স্বামী ও ভাবি মিলে শাম্মীর মুখে বালিশ চেপে ধরে হত্যা করে। পরে পুলিশ হাসপাতাল হতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর ছেলে সাইম আলম (১৭) মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ সিরাজুস সালেকীন ও মামি স্কুলশিক্ষিকা আয়শা খানমকে পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।


আরো সংবাদ



premium cement