১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর

গোয়ালঘরে বাস করা সেই বৃদ্ধ মকবুল পেলেন পাকা ঘরের চাবি

নতুন ঘরের সামনে বৃদ্ধ মকবুল ও কন্যাসহ অনেকে - ছবি - নয়া দিগন্ত

বরগুনার বেতাগীতে অন্যের গোয়ালঘরে বাস করা ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদার এবার পাকা ঘরের চাবি পেয়েছেন। অবশেষে বৃদ্ধ মকবুল ও তার ১৩ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়ে মিম এবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলো। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় বৃদ্ধ মকবুলের হাতে পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির।

এর আগে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর নয়া দিগন্তে ‘মেয়েসহ মকবুলের ঠাঁই হলো অন্যের গোয়ালঘরে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর টনকনড়ে বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবিরের। বৃদ্ধ মকবুলের পাশে এসে দাঁড়ান এবং একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দিবেন বলে ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করেন। তবে সংবাদ প্রকাশের পর সেটি দেখে পুলিশের আইজপি বেনজীর আহমেদের সহধর্মিণী বাংলাদেশ নারী পুলিশ কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী জীশান মির্জা ওই পরিবারকে একটি পাকা ঘর করে দিবেন বলে বেতাগী থানার ওসির মাধ্যমে প্রস্তাব দেন। কিন্তু এর মধ্যে মেয়র গোলাম কবির ওই বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্য নির্মানসামগ্রী পাঠান।

শুক্রবার মকবুলের হাতে পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার, বেতাগী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির খলিফা, হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার, সম্পাদক হাদিসুর রহমান পান্না, বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার ঢালী, সহ-সভাপতি ও নয়া দিগন্ত উপজেলা সংবাদদাতা কামাল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ইরান প্রমুখ।

গোয়ালঘরে বসবাস করা বৃদ্ধ মকবুল বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। কোনো ধরনের জমিজমা না থাকার কারণে তিনি একমাত্র বুদ্ধি-প্রতিবন্ধি মেয়ে মিমকে নিয়ে অন্যের গোয়ালঘরে গবাদিপশুর বর্জ্যের মধ্যে বসবাস করতেন। এ নিয়ে নয়া দিগন্ত সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

ঘর হস্তান্তরের সময় স্থানীয়রা জানান, গত সাত বছর আগে বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদারে স্ত্রী মারা যান। তখন মীমের বয়স ছয় বছর। তখন বৃদ্ধ মেয়েকে নিয়ে একটি ছোট্ট কুঁড়ের ঘরে বসবাস করতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য গতবছর বৃষ্টি আর বাতাসে মকবুলের সেই কুঁড়ের ঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। পরে প্রতিবেশী খালেদ হাওলাদারের গোয়ালঘরে ঠাঁই হয় বাবা ও মেয়ের। প্রায় ছয় মাস ধরে সেখানেই মানবেতর জীবনযাপন করেন। তবে এখন একটি পাকা ঘর পাওয়ায় শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। এখন সবাই সাহায্য সহযোগীতা করলেই ভালোভাবে দিন কাটবে বৃদ্ধ মকবুল ও তার মেয়ে মীমের। স্থানীয়রা মেয়রের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান।

ঘরের চাবি হস্তান্তরকালে বৃদ্ধ মো. মকবুল হাওলাদার বলেন, ‘নতুন একটি ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। অশ্রুসিক্ত চোখে কেঁদে কেঁদে বলেন কোনোদিনও ভাবিনি পাকা ঘরে থাকতে পারবো। যতদিন বেঁচে আছি মেয়রের জন্য দোয়া করবো।’

এ ব্যাপারে বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির বলেন, ‘সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদারকে একটি ঘর করে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা সকলের উচিত যার যার সামর্থ্যানুযায়ী অসহায়দের সহযোগীতা করা।’

গোয়ালঘরে বসবাস করা বৃদ্ধ মকবুলের হাতে পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডুসেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে : আইজিপি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে : রেলপথমন্ত্রী বাংলাদেশের আসছেন ‘ওসমান বে’ ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি মেলার পর বিশ্বকাপে খেলার অনুমতি পেলেন লামিচানে গাজীপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু নারায়ণগঞ্জে ৫৭টি চোরাই মোবাইলসহ ৭ জন গ্রেফতার আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদফতরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ গাজীপুরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

সকল