১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

এমপির মারধর : জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে যুবলীগকর্মীর সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মারধরের শিকার যুবলীগকর্মী নজরুল ইসলাম। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনার পাথরঘাটায় এক যুবলীগকর্মীকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে পাথরঘাটা পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন মারধরের শিকার যুবলীগকর্মী নজরুল ইসলাম (৩৮)। জানিয়েছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেল ৪টায় উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই খেলায় অংশ নেয়ার জন্য ঢাকা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাবের কিছু খেলোয়াড় পাথরঘাটায় আসেন। আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে যাওয়ার জন্য প্রাইভেটকারে রওয়ানা হই। পাথরঘাটা আকন মার্কেটের সামনে পৌঁছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আমাদের প্রাইভেটকারের পিছনে এসে পৌঁছান। এই খেলায় তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। তিনি আমাদের প্রাইভেটকারকে সাইড দিতে বলেন। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে ড্রাইভারের তাৎক্ষণিক সাইড দিতে কিছুটা দেরি হয়। তখন আমি উদ্যোগ নিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যের গাড়ি বহর পার করে দেয়ার ব্যবস্থা করি।

পরে খেলার মাঠে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন এমপি। আমিও খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে উপস্থিত হই। পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদাসহ ৪/৫ জন আমাকে সংসদ সদস্যের কথা বলে মঞ্চে ডেকে নিয়ে যান। সাথে সাথে মাননীয় সংসদ সদস্য আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে চড়-থাপ্পর ও লাথি মেরে আমাকে মঞ্চ থেকে ফেলে দেন।

তিনি আমাকে বলেন, ‘আমার গাড়ি বহর দেখে সাথে সাথে সাইড দাওনি কেন? আমার পা ধরে ক্ষমা চাও।’ এ সময় মাঠে উপস্থিত হাজারো জনতার সামনে মাননীয় সংসদ সদস্য আমাকে লাঞ্ছিত করেন। তখন মাঠে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলীয় নিজস্ব লোকজন দ্বারা বর্তমানে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোনো সময় আমার ও পরিবারের উপর হামলার আশঙ্কা করছি।

এদিকে, যুবলীগকর্মীকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন এমপি রিমন। তিনি বলেন, ‘নজরুল একটা বাজে লোক। ওর অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ওর নামে অনেকগুলো মামলা আছে থানায়, তাই আমি চড় দিয়েছি।’


আরো সংবাদ



premium cement