দাফন সম্পন্ন, তিন আসামি পাঁচ দিনের রিমান্ডে
- বরগুনা সংবাদদাতা
- ২৮ মে ২০২০, ০৯:৪৭, আপডেট: ২৮ মে ২০২০, ০৯:২৬
বরগুনায় ঈদের দিন বিকেলে নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে হামলায় নিহত হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবণগোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন হয় বুধবার সন্ধ্যায়।
এদিকে হৃদয় হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: আব্বাস উদ্দিন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও এ মামলায় গ্রেফতার অপ্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে হৃদয় হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানা পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, এ মামলায় গ্রেফতার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি নোমান কাজি, হেলাল মৃধা এবং হেলাল ফকিরের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় ভার্চুয়াল আদালতে। পরে আদালত তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় গ্রেফতার অপর চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদেরও সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত এ রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তীতে দিন ধার্য করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য যে, নিহত হৃদয় বরগুনা পৌর শহরের চরকলোনী চাঁদশী সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও বরগুনা টেক্সটাইল ও ভোকেশনালে ইনস্টিটিউটে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিলেন।
ঈদের দিন বিকেলে (সোমবার বিকেলে) উপজেলার গোলবুনিয়া পর্যটন এলাকায় ঘুরতে গেলে পায়রা নদীর তীরে তার উপর হামলা করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে নদীর তীরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় নয়নের গ্রুপের (কিশোর গ্যাং) ১০ থেকে ১২ জন হৃদয়ের উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে হৃদয়ের মৃত্যু হয়।