১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


টাঙ্গাইলে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল

-

টাঙ্গাইল জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ আলীকে হত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের আইনাঙ্গন উত্তাল হয়ে উঠেছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন আইনজীবীরা। জেলার আইনজীবীরা রোববার দুপুরে কোর্ট এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতি এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী-বেতুয়াপাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শনিবার বিকেলে অ্যাডভোকেট ফরহাদ আলীকে তারই চাচাত ভাই রুবেল মিয়া চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার দুপুরে কোর্ট রেফারেন্স শেষে জেলার আইনজীবীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কোর্ট এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহাম্মেদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামস উদ্দিনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন, জিপি অ্যাডভোকেট আনন্দ মোহন আর্য্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফায়কুজ্জামান নাজিব, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আলো ও অ্যাডভোকেট মহসিন সিকদার এবং সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এস আকবর খান প্রমুখ। তারা এ ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের আইনজীবীরা আগামী সাতদিন কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এছাড়া হত্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে প্রশাসন কীভাবে কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য আইনজীবীদের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফরহাদকে হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে কোর্টে এসে তার চাচাত ভাইয়েরা তার উপর হামলা করেছিল। এ নিয়ে বার সমিতিতে বিচারও হয়েছে।  রোববার দুপুর ১টায় নিহত ফরহাদ আলীর লাশ টাঙ্গাইল বার সমিতির সামনে আনা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। জোহর নামাজের পর জেলা সদর মসজিদের মাঠে তার প্রথম জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাযা নামাজে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী চৌধুরী ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল মনছুর মিয়াসহ অন্য বিচারকগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে ফরহাদ আলীর লাশ তার গ্রামের বাড়ি ঘাটাইলের সাগরদিঘীর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে সাগরদিঘী ঈদগা মাঠে দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টায় জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় গ্রেফতার নিহতের চাচাত ভাই রুবেল মিয়াকে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর পরই রুবেল মিয়া সাগরদিঘী পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পন করে।

নিহত ফরহাদ আলীর আরেক চাচাত ভাই লুৎফর রহমান বলেন, ফরহাদ আলী তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে চতুর্থ। তার আট বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। ছেলেটির নাম সাফিন আহাম্মেদ লিখন। সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।


আরো সংবাদ



premium cement
৫ দফা দাবিতে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্মারকলিপি গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করুন : বাইডেনকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় তীব্র লোড শেডিং, ২২ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ গণ-অর্থায়নের মাধ্যমে যেভাবে এভারেস্টের চূড়ায় বাবর আলী ৩২ দিনে ৮ বার বাড়ল স্বর্ণের দাম ইরানি প্রেসিডেন্ট ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন না! সফলতার সাথে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি : মেয়র তাপস সৌদির ঐতিহাসিক যে স্থানটিতে ৭ দেশের হাজিরা তাবু স্থাপন করতো ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ রেলওয়ে সিপাহি আটক গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক সেনাসহ নিহত ২, চালক আটক

সকল