০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যশোর শিক্ষাবোর্ডে সাংবাদিককে পঁাচতলা থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা

জড়িত দাউদ হোসেনকে শোকজ
-

দৈনিক নয়া দিগন্তের যশোর অফিসের স্টাফ রিপোর্টার, স্থানীয় দৈনিক গ্রামের কাগজের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সদ্য সাবেক সভাপতি এম. আইউবের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডুর পিয়ন দাউদ হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলেছেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এম আব্দুর রহিম। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে ওই দফতর থেকে প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জানিয়েছেন সচিব।
সাংবাদিক এম. আইউব রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে একটি তথ্য নিতে শিক্ষাবোর্ডে যান। সেখানে যাওয়ার পর কলেজ পরিদর্শককে না পেয়ে তাকে ফোন করেন তিনি। কলেজ পরিদর্শক তাকে তার রুমে বসতে বলেন। অথচ পিয়ন দাউদ হোসেন সেখানে তাকে বসতে দিতে রাজি ছিলেন না। এমনকি তাকে বের করে দিয়ে রুমে তালা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দাউদ হোসেন মারমুখী এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি সাংবাদিক এম. আইউবকে টেনেহেঁচড়ে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা চালান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে যশোরের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক শিক্ষাবোর্ডে ছুটে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে আসেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সচিব এম আব্দুর রহিম। তার সাথে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহম্মদ, কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডু, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের দফতরে তাৎক্ষণিক সমঝোতা বৈঠকে বসেন তারা। ওই সময় সেখানে প্রেস ক্লাব যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওহাবুজ্জামান ঝন্টু, সহসভাপতি নূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলনসহ ব্যাপক সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনায় পিয়ন দাউদ হোসেনের অপরাধ এবং কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডুর নির্লিপ্ততার প্রমাণ মেলে। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জড়িত দাউদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, জড়িত ব্যক্তিকে ওই দফতর থেকে প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দাউদ হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে।
ওই দিন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটি মিটিংয়ে থাকায় ফোনে সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement