অভয়নগরে জুয়ার আসরে নিঃস্ব খেটে খাওয়া মানুষ
- মফিজুর রহমান অভয়নগর (যশোর)
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামের দোকানে দোকানে সন্ধ্যা নামলেই বসে জমজমাট তাস-জুয়ার আসর। আর এই জুয়ার আসরে বসছে গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করে যে টাকা আয় করেন, সেই টাকা তাস-জুয়া খেলে খুইয়ে তারা ঘরে ফেরেন। আর এ কারণে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার সদাই না কিনতে পারায় দিনে দিনে তাদের পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সিদ্ধিপাশা, হিদিয়া, বাশুয়াড়ি, রানাগাতি ও বাঘুটিয়ার বিভিন্ন চায়ের দোকানের পাশাপাশি বাগানের মধ্যে পাতানো চৌকির ওপর বসে চলছে তাস-জুয়া খেলা। এ ছাড়া প্রেমবাগ, চলিশিয়া, পায়রা ও সুন্দলী ইউনিয়নের অধিকাংশ চায়ের দোকানে বিকেল হলেই বসে তাসের আসর। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নি¤œ আয়ের মানুষ।
ভুক্তভোগী পরিবারের একজন গৃহবধূ তার স্বামী সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সকালে ক্ষেতে কাজ করে ৪০০ টাকা আয় করে, আর বিকেলে তাস খেলে সেই টাকা খুইয়ে ঘরে ফেরে। সংসারের চাল কিনতে বললে বলে টাকা নেই। তাহলে কাজ করে যে টাকা পেলো সেই টাকা কোথায় গেলো? এসব নিয়ে বেশি কিছু বললে ঝগরাঝাটি, মারামারি করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে। সেই ভয়ে কিছু বলতেও পারি না।’ তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে চায়ের দোকানে বসে জুয়া চলে, কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন কিছু বলে না। কোনো দারোগা এসে যদি এসব চায়ের দোকানদার ও জুয়াড়িদের আটক কিংবা শাসন করত তাহলে আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম। আর আমাদের পরিবারে শান্তি ফিরে পেতাম।’
একজন জুয়াড়ির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ১০-২০ কিংবা ৫০-১০০ টাকা করে জুয়া খেলি। আর খেলা শেষে অনেকের এক দেড় হাজার টাকা লাভ হয়। বাকিদের সব খুইয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
উপজেলার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে যশোর জেলা পুলিশ সুপার ও অভয়নগর থানা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, এ বিষয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা