১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্লাস্টিকের ফুল আমদানিতে বিপর্যস্ত দেশের ফুলশিল্প

সাতকানিয়ার খাগারিয়ায় ক্ষেত থেকে ফুল তুলছেন চাষিরা : নয়া দিগন্ত -

কয়েক বছর ধরে অবাধে চলছে বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের ফুল আমদানি। আর সে কারণে আজ হুমকিতে পড়েছে দেশের ফুলশিল্প। সেই সাথে এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত অন্তত ৫০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম ফুল ব্যববসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি নাছের গনি চৌধুরী বলেন, সরকার যদি সহসা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয় তা হলে দেশের সম্ভাবনাময় ফুলশিল্প একসময়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
প্লাস্টিক ফুল আমদানির কারণে শুধু দক্ষিণ চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, সিলেটসহ সারা দেশের ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের মুখে আর হাসি নেই, তাদের মধ্যে চলছে একপ্রকার অনিশ্চয়তা। গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত দেশী ফুল বিক্রি অর্ধেকে নেমে আসার সাথে সাথে ফুল চাষের পরিধিও অনেক কমে গেছে। একই অবস্থা চট্টগ্রামে ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ চট্টগ্রামের শঙ্খ নদীর দুই তীরে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার চাষিদের। উৎপাদিত ফুলের বাজারে ধস নামার সাথে সাথে শঙ্খের দুই তীরে শত শত ফুল চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ফুল চাষের অন্যতম উদ্যোক্তা আবদুল গফুর জানান, তিনি ২২ বছর ধরে শঙ্খের চরাঞ্চলে নানা ধরনের ফুলের চাষ করতেন। কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে বিদেশ থেকে বিভিন্ন জাতের প্লাস্টিকের ফুল আমদানি করার কারণে এই অঞ্চলে ফুল চাষ তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, তার দেখাদেখি এই নদীর তীরজুড়ে একসময়ে ২০০ থেকে ২৫০ পরিবার ফুল চাষ করত। এখন এই সংখ্যা ২০-২৫ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। পটিয়ার ফুলচাষি ও ফুল বিক্রেতা শাহজাহান ও আবদুল জব্বার বলেন, প্লাস্টিকের ফুলের কারণে ফুল বিক্রি ও ফুলের চাষ এখন অর্ধেকে
নেমে এসেছে।
চট্টগ্রাম-ফুল ব্যববসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নাছের গনি চৌধুরী বলেন, কয়েক বছর ধরে গুটিকয়েক অসাধু ফুল ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে নানা রকমের প্লাস্টিকের ফুল আমদানি করায় দেশী তাজা ফুলের বাজারে ধস নেমেছে; যে কারণে চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, সিলেটসহ সমগ্র দেশে ফুল চাষ ও বিক্রির সাথে জড়িত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ও তাদের পরিবার পরিজনের জীবন-জীবিকা অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের ফুল আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। না হলে দেশের সম্ভাবনাময় ফুল শিল্প এক সময়ে হারিয়ে যাবে। একই সাথে তিনি দেশে ফুলের বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি চাষিদেরকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, চট্টগ্রামে একটি ফুল গবেষণাগার স্থাপন, ফুলের গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ, বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, রাজধানীতে ফুল পরিবহনের সুব্যবস্থা ও ফুল সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপনের জন্য সকারের কাছে দাবি জানান। তা হলে দেশের ফুলশিল্পের পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি বিদেশেও ফুল রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক অর্জন করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন : রাষ্ট্রপতি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন ঢাকা থেকে গ্রেফতার ছয় আরব দেশকে গাজায় টেনে আনছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে : প্রশ্ন কাদেরের ভালুকায় গাড়িচাপায় মিল শ্রমিক নিহত বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনবদ্য প্লাটফর্ম নারী স্পিকারদের সামিট : স্পিকার কম সময়ে মস্তিষ্কের টিউমার শনাক্ত করতে সক্ষম এআই টুল! নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নিয়ে আসছে বিসিবি ‘সুইজারল্যান্ড শান্তি’ সম্মেলনে চীনকে যোগ দেয়ার আহ্বান জেলেনস্কির রাশিয়া-ইরান একক ব্রিকস মুদ্রা তৈরির কাজ করছে : ইরান আড়াইহাজারে ট্রাকচাপায় যুবকের মৃত্যু

সকল