২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


পাঁচবিবিতে সার নিয়ে তেলেসমাতি

-

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চলতি রবি শস্য মৌসুমে সার নিয়ে তেলেসমাতি কারবার শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারদের কাছে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েও মিলছে না সরকার নির্ধারিত মূল্যের সার। অপর দিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ের খোলা বাজারে বিভিন্ন প্রকার সার বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রবিশস্য চাষিরা। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সার কিনতে আসা কৃষকরা। এতে চলতি মৌসুমে আলু, সরিষা ও গম চাষের উৎপাদন খরচ অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তারা জানান।
কৃষকদের অভিযোগ, বর্তমানে এ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ডিলারদের সারের দোকানে সরকারি মূল্যের চেয়ে প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ১০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টাকা ও টিএসপি ১ হাজার ১০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে কৃষকদের কিনতে হচ্ছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার কিনতে চাইলে সার সঙ্কটের অজুহাতে কৃষকদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন ডিলাররা।
উপজেলার পাগলাবাজার এলাকার কৃষক সবুজ হোসেন বলেন, আমি এবার ১০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করতে চাচ্ছি। কিন্তু ডিলারের কাছে সার কিনতে গেলে ডিলার সার নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আবার রাতে বেশি দামে সার বিক্রিও করছেন তারা। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি হলেও উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।


উপজেলার ভারাহুত গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা, আব্দুর রহিম ও আব্দুল আলিম অভিযোগ করে বলেন, ডিলারের দোকানের সামনে মূল্য তালিকা ঝুলানো থাকলেও দোকানের ভেতরের চিত্র ভিন্ন। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করছেন। আবার সার বিক্রির কোনো রশিদও দেয়া হচ্ছে না।
উপজেলায় বিসিআইসি নিযুক্ত সার ডিলার সুকুমার কণ্ডু সার সঙ্কটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কৃষি অফিসের নির্দেশনা মতে প্রতি বিঘায় যে হারে সার প্রয়োগ করতে হয় কৃষকরা তার পাঁচ গুণ হারে জমিতে সার প্রয়োগ করায় এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এ বছর আলু, সরিষা ও গমের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে ডিলারদের সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি জানান।
সূত্র জানায়, উপজেলায় সরকারিভাবে ১২ জন বিসিআইসি ও ১৮ জন বিএডিসি অর্থাৎ মোট ৩০ জন ডিলারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ৮১ জন সাব ডিলারকে দিয়ে একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকদের মধ্যে সার বিক্রি করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি বরমান হোসেন বলেন, উপজেলায় সারের সঙ্কট নেই। তবে কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় জমিতে অতিরিক্ত সার দেয়ায় এবং চলতি রবিশস্য মৌসুমে ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের মধ্যে এ সঙ্কট কেটে যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফের ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ মিরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক ও পুলিশ সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত লজ্জাহীনতার বার্তা শিশুদের মনে দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার গুরুতর আঞ্চলিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল