২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


আশুলিয়ায় রূপচাঁদার নামে নিষিদ্ধ পিরানহা বিক্রি

-

বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিরানহা মাছের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছেন। অথচ এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী মাছ বিক্রেতারা এটাকে রূপচাঁদা মাছ বলে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে বিক্রি করছেন। আর দামে কম হওয়ায় সাধারণ মানুষজন এটাকে রূপচাঁদা মাছ ভেবে কিনে নিচ্ছেন।
আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি বাজার, বাড়ইপাড়া বাজার, জিরানী বাজার, ইকরা বাজার, টেঙ্গুরী বাজার, আমতলা বাজার, ধামসোনার ইউপির বলিভদ্র বাজার, ভাদাইল বাজার, পল্লীবিদ্যুৎ, দোসাইদ বাজার, বাংলাবাজার, পাথালিয়ার কুরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে পিরানহা মাছ বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক ও দিনমজুর মানুষেরা কিনছেন।
শিমুলিয়ার গোহাইলবাড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে শুক্রবার। এ অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা এ দিন সারা সপ্তাহের বাজার কিনে রাখেন। সেই সাথে মাছও। বাজারের কয়েকজন মাছ বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেল, প্রতি শুক্রবার দুই-একজন মাছ বিক্রেতা অধিক লাভের আশায় কম দামে বিভিন্ন মাছের আড়ত থেকে পিরানহা কিনে আনেন। এই মাছ বিক্রিতে লাভ বেশি।
সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, বাংলাদেশের জলজ পরিবেশের সাথে পিরানহা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এগুলো রাক্ষুসে স্বভাবের। অন্য মাছ ও জলজ প্রাণী খেয়ে ে ফলে। দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্র্যের জন্য এগুলো হুমকিস্বরূপ। এ কারণে সরকার ও মৎস্য অধিদফতর আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহা মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, বংশবৃদ্ধিকরণ, বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেন। বাজারে এ মাছ বিক্রি বন্ধ করতে তাদের অভিযান চলবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement