১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


কাজিপুরে আবাদি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন

-

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। আইনের তোয়াক্কা না করে যে যার ইচ্ছামতো নদী ও আবাদি জমিতে মাটি কেটে ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
জানা গেছে, প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি যমুনা নদী ও মাটির গভীর থেকে বালু উত্তোলন করায় বিপাকে পড়েছেন আবাদি জমির মালিকরা। এক্সেভেটর যন্ত্র (ভেকু মেশিন) দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করায় পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বেশ কিছু চাষি পরিবার।
চাষিরা জানান, যেভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে করে তাদের আবাদি জমিটি ধসে ভবিষ্যতে বালুতে তলিয়ে গেলে তারা আর চাষ করতে পারবেন না। এতে তারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পার্শ্ববর্তী আবাদি জমির মালিকরা বারবার নিষেধ করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, কাজিপুরে ঢেকুরিয়া, মেঘাই, খুদবান্দি, পাটাগ্রাম, শুভগাছা, সোনামুখী, উদগাড়ী, পারুলগান্দি, নাটুয়ারপাড়া, কুমারিয়াবাড়ী, রঘুনাথপুর গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে হাত করে অবৈধ উপায়ে মাটি ও বালু বিক্রি করে আসছেন। এসব বালু ব্যবসায়ীরা আগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সরকার ২০১০ সালে মাটি ও বালুমহাল আইন পাস করলে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বাদ দিয়ে বর্তমানে ভেকু মেশিন দিয়ে পুরোদমে চালাচ্ছেন মাটি ও বালুর ব্যবসায়। এতে পার্শ্ববর্তী শত শত বিঘা আবাদি জমির ফসল নষ্টসহ বিভিন্ন ফলদ বাগান বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। বালু উত্তোলন করার পর এসব বালু পার্শ্ববর্তী ফসলি জমিতে রাখার ফলে জমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। অন্য দিকে প্রতিদিন ১০০-১২০টি মাটি ও বালুভর্তি ট্রলি ও ট্রাক্টর মাঠে আসা-যাওয়ার ফলে গ্রামীণ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা। বিয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘ দিনের।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘পুরো উপজেলা থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement