২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কে কার্পেটিং নেই

হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কে কার্পেটিং উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে : নয়া দিগন্ত -

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা শহরে যাতায়াতের সড়কটির নানাস্থানে কার্পেটিং উঠে গর্ত আর খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে সড়কটি যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এসব গর্ত ও খানাখন্দে পড়ে বিভিন্ন যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং হতাহতের শিকার হচ্ছেন অনেক যাত্রী। এরপরও রাস্তাটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী, পথচারী ও যানবাহনের চালকেরা।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া সড়কটির বেশির ভাগ অংশ সংস্কার করা হলেও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত বাস-ট্রাক-টেম্পোসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী পথচারী ও চাকরিজীবীরা চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। ফলে প্রতিদিন এ সড়কে ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। বাড়ছে হতাহত ও প্রাণহানীর ঘটনাও। বিশেষ করে এ সড়ক দিয়ে গর্ভবতী নারী শিশু ও বৃদ্ধদের যাতায়াত এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, হোসেনপুর হাসপাতাল চৌরাস্তা থেকে জামাইল, কাওনা, তারাকান্দি বাজার হয়ে পাকুন্দিয়া বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় অটোচালক আলমগীর, বুরহানসহ অনেকেই জানান, রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে বারবার ব্রেক চাপতে গিয়ে বেশির ভাগ সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। ফলে উপার্জনের বেশির ভাগ টাকা গাড়ি মেরামতের পেছনে চলে যায়। ট্রাকচালক মুসলিমসহ অনেকেই জানান, বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের কারণে প্রায়ই রাস্তাটিতে ট্রাক চালাতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি। স্থানীয় জামাইল গ্রামের নবী হোসেন, নুরুল হকসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরে হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কটি জরাজীর্ণ ও খানাখন্দে ভরা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কেন যে উদাসীন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাই এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম জানান, হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কটি মেরামতের জন্য ঢাকার ডলি কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেয়া হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজটি না করে ফেলে রেখেছেন। ফলে রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বারবার চিঠি দিয়ে জানানো ও তাগিদ দেয়ার পরেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রিমার্ক-হারল্যানের নতুন পরিচালক ইউনিলিভারের সামি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গায় বিএন‌পি নেতার লাশ মিল‌ল পাটক্ষেতে কক্সবাজারে ভোট শেষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক : ওবায়দুল কাদের চকরিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন ফজলুল করিম এ বছর রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পাচ্ছেন ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠান জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারসহ ১১ জনের কারাদণ্ড শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ নন্দীগ্রামে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সাথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর যুব কর্মসূচির চেয়ারম্যানের বৈঠক

সকল